নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বাংলাদেশি একটি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রায় ৫০ জন নিহত হওয়র পর সব বিমান সংস্থা নড়েচড়ে বসেছে। এদিকে ডিজিসিয়ের নিষেধাজ্ঞার জের ধরে ৪৭টি বিমান বাতিল করল ভারতের ইন্ডিগো। প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি ইঞ্জিনচালিত ইন্ডিগোর ৮টি এয়ারবাস এ৩২০ নিও বিমানের উড়ানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন।
একইভাবে গো এয়ারের ১৮টি বিমানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সংস্থাটি।
সব মিলিয়ে মোট ৬৫টি বিমান বাতিল করল ইন্ডিগো এবং গো এয়ার।মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে ওই দুই বিমান সংস্থা।
মন্ত্রকের অধীনস্থ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিএয়েশন (ডিজিসিএ) একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিল, বিমান চলাচলে সুরক্ষার কথা ভেবে পিডব্লিউ ১১০০ ইঞ্জিনযুক্ত ১১টি এ৩২০ বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হলো। ঝুঁকি থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল ডিজিসিএ।
সোমবার ইঞ্জিনে ত্রুটির জন্য আমেদাবাদ থেকে লখনউগামী ইন্ডিগোর বিমান আমেদাবাদ বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। উড়ানের ৪০ মিনিটের মধ্যেই অবতরণে বাধ্য হয় বিমানটি। ফেব্রুয়ারি মাসে ইন্ডিগোর তিনটি বিমান একই কারণে অবতরণ করে। এরপরই পদক্ষেপ নেয় ডিজিসিএ।
সোমবার ডিজিসিএ জানায়, পিডব্লিউ ১১০০ ইঞ্জিনচালিত এয়ারবাস এ৩২০ নিও বিমানগুলিকে বাণিজ্যিক উড়ানে ব্যবহার করা যাবে না। বিমান বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বহু যাত্রী। দেশজুড়ে দিনে প্রায় ১ হাজারটি বিমান চালায় ইন্ডিগো। দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ বিমানযাত্রী ইন্ডিগোর বিমানে যাত্রা করেন। ১০ শতাংশ যাত্রী যাত্রা করেন গো এয়ারের বিমানে।