ছেলের মৃত্যুর খবর না জানাতে ডিশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

নেপালে বিমান বিধ্বস্ত

ছেলের মৃত্যুর খবর না জানাতে ডিশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নেপালে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার রকিবুল হাসান। আর তার স্ত্রী রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) প্রভাষক এমরানা কবির এখন আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এদিকে মা যেন আপাতত কোনোভাবেই জানতে না পারে, তার জন্য রকিবুল ইসলামের ঢাকার বাসায় (কাজীপাড়া) ডিশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

বিধ্বস্ত ওই বিমানের যাত্রী ছিলেন রকিবুল-এমরানা দম্পতি।

তারা ছুটি কাটাতে নেপালে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, নেপালের মাটিতে পা দেওয়ার আগেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তারা দু’জনই গুরুতর আহত হন। তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।
সেখানে না ফেরার দেশে চলে গেছেন রকিবুল হাসান। আর তার স্ত্রী এমরানা কবির হাসি এখনো আইসিইউতে।

একমাত্র ছেলে রকিবুল হাসানকে অনেক কষ্টে মানুষ করেছেন মা সেলিনা আখতার ঝর্ণা। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার রকিবুল সারাক্ষণ মাকে আগলে রাখতেন। চাকরির কারণে রকিবুল মাকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। আর স্ত্রী এমরানা কবির হাসি থাকতেন রাজশাহীতে। একমাত্র ছেলে রকিবুলের মৃত্যু সংবাদ কীভাবে মেনে নেবেন মা? কীভাবেই বা তাকে খবরটা জানাবেন স্বজনরা? এই দুশ্চিন্তা থেকে আজ মঙ্গলবারও তার মাকে জানানো হয়নি প্রাণপ্রিয় ছেলের মৃত্যু সংবাদ। টিভি দেখে যাতে খবরটি জেনে না যায় এজন্য বাসার ডিশ সংযোগ সোমবার থেকেই বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

রকিবুলের মামাতো ভাই সানি বলেন, ফুপুকে এখনো বিষয়টা জানানো হয়নি। উনি সহ্য করতে পারবেন না। পরে সময়-সুযোগ বুঝে জানানো হবে। এখন ফুপু স্বাভাবিকভাবে ঘরের কাজকর্ম করছেন। কিছু জানেন না। ছেলের মৃত্যুর খবর যাতে জানতে না পারেন সে জন্য বাসার ডিশ লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ কাঠমান্ডুর উদ্দেশে রওনা হয়। এরপর বিমানটি কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। এতে চার ক্রুসহ ৭১ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে কমপক্ষে ৫০ জন আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশি ২৬ জন। এছাড়া ১০ বাংলাদেশি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

সম্পর্কিত খবর