যে ছবি এখন শুধুই স্মৃতি

বা থেকে সোনা মনি, ফারুক, এ্যানি প্রিয়ক ও এ্যানির একমাত্র সন্তান তামারা প্রিয়ন্ময়ী। যাবার আগে ফেসবুকে এই ছবি পোস্ট করেন এ্যানি।

ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ওলট-পালট করে দিয়েছে সব

যে ছবি এখন শুধুই স্মৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নেপালে ত্রিভুবন বিমান বন্দরে সোমবার দুপুরে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলার বিমানে ছিলেন গাজীপুরের শ্রীপুরের নগর হাওলা গ্রামের একই পরিবারের পাঁচ সদস্য। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে পাঁচজনের মধ্যে দুইজন আজ আর এ পৃথিবীতে নেই। তাদের মরদেহ নেপালে রেখেই আজ ফিরছেন অন্য তিন সদস্য।

পরিবার নিয়ে নেপালের কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশ্যে গত সোমবার ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে রওনা হয়েছিলেন ফারুক হোসেন প্রিয়ক ও মেহেদী হাসান দম্পতি।

ওই ফ্লাইটে থাকা এই দুই পরিবারের পাঁচ সদস্য হলেন, উপজেলার নগরহাওলা গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে ফারুক হোসেন প্রিয়ক (৩২), তাঁর স্ত্রী এ্যালমুন নাহার এ্যানি (২৫), তাদের এক মাত্র সন্তান তামারা প্রিয়ন্ময়ী, নগরহাওলা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান অমিও (৩৩) ও তাঁর স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা (সোনা মনি) ২৫। ফারুক পেশায় একজন ফটোগ্রাফার, মেহেদী হাসান পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। প্রিয়ক ও মেহেদী হাসান সম্পর্কে মামাতো ফুফাতো ভাই। বিমানে ওঠার আগে এয়ারপোর্টে তোলা দুইটি ছবি ফেসবুকে আপলোড করে সবার কাছ থেকে বিদায় নেন এ্যানি।
দোয়া চান। ওই উড়োজাহাজটি নেপালে অবতরণ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ৭১ জন আরোহী নিয়ে যাত্রা করা বিমানটির অধিকাংশ যাত্রী প্রাণ হারান। প্রাণ হারান এ্যানির একমাত্র মেয়ে প্রিয়ন্ময়ী ও স্বামী ফারুক। সবচেয়ে কাছের দুই মানুষকে হারিয়ে এ্যানি এখন বাকরুদ্ধ। আজ দেশে ফিরছেন তিনি। তবে ফিরছেন না স্বামী ও মেয়ে। কবে ফিরবে তাদের মরদেহ তা এখনো নিশ্চিত নয়। তার সঙ্গে দেশে আসছেন একই পরিবারের মেহেদী হাসান ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহার স্বর্ণা।  

সোমবার দুপুরে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারান ৫১ জন। কন্ট্রোলরুম ও পাইলটের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানে ভুল বোঝাবুঝির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর