‘আমরা বুলেটে নয়, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি’

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

‘আমরা বুলেটে নয়, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি’

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, আজকে দেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খাতা-কলমে আছে কিন্তু বাস্তবে সেই স্বাধীনতা এখন আর নেই। তাদের (বিচারকদের) মুক্তমনে বিচার করার যে শক্তি থাকার কথা সেটা আছে বলে আমি মনে করি না।
 
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন নামের একটি সংগঠন আয়োজিত এক নাগরিক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাস দীর্ঘায়িত করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে নাগরিক প্রতিবাদ সভাটির আয়োজন করা হয়।


 
ব্যারিস্টার মওদুদ দাবি করেন, এই সরকার বাংলাদেশের বিচার বিভাগের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছে নানা কলাকৌশলে।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রপ্রিয়। তারা স্বৈরাচার পছন্দ করে না।

স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে তারা রাজপথে নেমে আন্দোলন করে। আমরা ১৯৬৯ সাল দেখেছি, ১৯৬২ সাল দেখেছি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এরশাদবিরোধী আন্দোলন দেখেছি। শেষ পর্যন্ত জনগণের বিজয় হয়। তাই যতই কলাকৌশল করেন না কেনো বেগম জিয়ার কারামুক্তি যতই বিলম্বিত করেন না কেনো তারপরও বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে আসবেন। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আবার তারই (খালেদা) নেতৃত্বে ইনশাআল্লাহ ফিরে আসবে।
 
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, নির্বাচন নিয়ে সরকার জনগণের সাথে প্রতারণা করছে। তারা (সরকার) একদিকে বলছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন তারা চান। আবার এটাও বলছে বিএনপি নির্বাচনে আসুক এটাও তারা চান। কিন্তু কাজেকর্মে কী করছেন? মাঠ পর্যায়ে কী করছেন? হাত-পা শক্ত করে বেঁধে বিএনপিকে বলছেন, এখন আপনারা সাঁতার কাটেন।
 
আমরা বুলেটে নয়, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, যত কথাই বলেন, যতই ষড়যন্ত্র করেন কৃত্রিম উপায়ে যতই বিরোধীদল সৃষ্টি করেন না কেনো কোনো লাভ হবে না। বিএনপিই একমাত্র দল নির্বাচনের মাধ্যমে যারা আবার ক্ষমতায় আসতে পারে যদি দেশে একটি সত্যিকারের নির্বাচন হয়। জনগণের জনসমর্থনের উপর ভিত্তি করেই আমাদের দল।
 
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আমির হোসেন বাদশাহর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/ তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর