সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে মধ্যযুগীয় কায়দায় এক গৃহবধূকে গাছের সাথে বেঁধে লাঠি ও শাবল দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। আহত গৃহবধূর ছোটভাই লাভলু মোল্লা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কালিগঞ্জ থানায় গৃহবধূর স্বামী অহিদুল্লাহ গাজীসহ তার পরিবারের সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
আহত গৃহবধূ মাহফুজা খাতুন (৩০) জেলার শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ হাজিপুর গ্রামের আব্দুল গফফারের মেয়ে ও কালিগঞ্জ উপজেলার আড়ংগাছা গ্রামের অহিদুল্লাহ গাজীর স্ত্রী।
পুলিশ আহত গৃহবধূকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেছে।আাটককৃতরা হলেন, আহত গৃহবধূর ননদ মাছুমা বেগম (৩০) ও ভাশুরের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (২৫)।
আহত গৃহবধূ মাহফুজা খাতুনের বড়ভাই বাবলু মোল্যা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে মাহফুজা ও তার স্বামী অহিদুল্লাহর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এক পর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে তার পিতার বাড়িতে চলে যায়।
এ সময় তার স্বামী অহিদুল্লাসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মাহফুজাকে গাছের সাথে বেঁধে লাঠি ও শাবল দিয়ে মারপিট করে। এক পর্যায়ে মাহফুজা অচেতন হয়ে পড়লে মারা গেছে মনে করে পরিবারের সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে। গৃহবধূর তাহশিয়া খাতুন (১২) ও তুন্নি খাতুন (৮) নামে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুবির দত্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আহত অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাত জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।