গণধর্ষণের পর ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা

প্রতীকী ছবি

গণধর্ষণের পর ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

গণধর্ষণের পর গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা কারা হয়েছে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে। তার প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিল শিশুটি। শুক্রবার রাতেই মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই বালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

যাদের বয়স ১০ এবং ১১ বছর। ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী জাকির হুসেন (২১) পলাতক। ভারতের অাসামের নওগাঁয়ে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ঘটনার দিন স্কুল থেকে ফিরে বাড়িতে একাই ছিল পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী।

মা-বাবা দুজনেই কাজে বাহিরে যান। সেই সুযোগে জাকির হুসেন বাড়িতে ঢুকে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে তাতে যোগ দেয় ১০ এবং ১১ বছরের দুই বালক। ধর্ষণের পর ছাত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে তারা।

পুলিশ ধারণা করছে, জাকিরের সঙ্গে ছাত্রীর পরিবারের বিবাদ ছিল, সে কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। আটক ২ বালকের বিরুদ্ধে জুভেনাইল আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত জাকির হুসেনের খোঁজে নোটিস জারি করা হয়েছে। ভারতের অাসামের নওগাঁয়ের এই ঘটনায় স্তম্ভিত বাসিন্দারা।

পুলিশ সুপার শঙ্কর রায়মেধি জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে নির্যাতিতার বয়ান নেওয়া হয়েছে। তার ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ বালককে। মেডিকেল টেস্টেই ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

চিকিৎসকরা জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়। এ অবস্থায় নির্যাতিতাকে হাসপাতালে আনা হলেে এখানেই তার মৃত্যু হয়।

গ্রামবাসী জাকিরসহ ওই তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। তারা অভিযোগ করেন এলাকায় মেয়েদের নিরাপত্তা নেই। প্রায়ই এলাকায় শ্লীলতাহানির শিকার হচ্ছে মেয়েরা।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর