স্বাধীনতা দিবসে জাতিসংঘে কূটনীতিকদের মিলনমেলা

বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিদেশী কূটনীতিকদের মিলন-মেলা।

স্বাধীনতা দিবসে জাতিসংঘে কূটনীতিকদের মিলনমেলা

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে দিনব্যাপী কর্মসূচিতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৮ উদযাপিত হয়েছে। সকাল সাড়ে নয়টায় স্থায়ী মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।

বিকেল ছয়টায় মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বিদেশী অতিথিদের অভর্থ্যনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি সেফ দ্য ক্যাবিনেট রাষ্ট্রদূত ফ্রান্টিসেক রুজিক্কা, জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব ফিল্ড সাপোর্ট এর আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল অতুল খারে, অষ্ট্রেলিয়া, ভারত, ব্রাজিল, কানাডা, সৌদিআরব, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, ফিলিপাইন, বেলজিয়াম, দক্ষিণ আফ্রিকা ও কিউবাসহ প্রায় শতাধিক দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি/উচ্চপর্যায়ের কূটনীতিক এবং জাতিসংঘ ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, এবারের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ আমরা জাতীয়ভাবে উন্নয়নের মাইলফলক অর্জন করেছি।

প্রথমবারের মতো এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন উল্লেখযোগ্য। আগামী মাসে ফ্লোরিডার কেপ কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১।

রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কৌশলের সঙ্গে এজেন্ডা ২০৩০ কে একীভূত করে আমরা দেশের উন্নয়ন কর্মকানণ্ড বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমাদের অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন পরিকল্পনা এমনভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে যাতে কোনো নাগরিক পিছিয়ে না থাকে।

বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিক্রমা সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ থেকে এই উত্তরণের অন্তরালে রয়েছে উন্নয়নের অদম্য স্পৃহা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের ঘুরে দাড়ানোর উপাখ্যান। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নদর্শী নেতৃত্বের কারণে। তিনি বাংলাদেশের এই সাফল্যের জন্য জাতিসংঘসহ সকল উন্নয়ন অংশীদারদের ধন্যবাদ জানান।  
 
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি মিরোস্লাভ লাইচ্যাক এর বক্তব্য পাঠ করে শোনান তাঁর শেফ দ্য ক্যাবিনেট, রাষ্ট্রদূত ফ্রান্টিসেক রুজিক্কা,।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিস্ময়কর অগ্রগতির পথে। বাংলাদেশের এই সাফল্য বিশ্ববাসীর জন্য একটি শুভ বার্তা। গর্বের বিষয়।

বাংলাদেশের নাগরিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই আপনারা পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছেন। এগুলো নিঃসন্দেহে আপনাদের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন লক্ষ্য ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জন করতে সাহায্য করবে। এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনকে তিনি একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/প্রতিনিধি তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর