নাটোরের গুরুদাসপুরে বিয়ের পাঁচ দিন পর মিম খাতুন (১৬) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বামী ফরহাদের বাড়ির পেছনে মাটিতে পুতে রাখা ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ড এলাকাজুড়ে সাড়া ফেলেছে।
এলাকাবাসী ঘাতক স্বামী ফরহাদসহ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার ঝাউপাড়া গ্রামে মিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনায় স্বামী ফরহাদ, তার প্রথম স্ত্রী ইমা বেগম (১৮), ইমার বাবা তফের আলী (৪৭), ইমার মা সুখজানকে (৩৯) আটক করে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার হালায়কুল গ্রামের কৃষক মনিরুলের মেয়ে গুরুদাসপুর রোকেয়া গালর্স স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মিমের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ঝাউপাড়া গ্রামের তৌহিদুলের ছেলে ফরহাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর নববধূ মিমকে তার শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বিয়ের ৫ দিন পর গৃহবধূকে হত্যা
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) দিলীপ কুমার দাস জানান, ফরহাদ,তার প্রথম স্ত্রী ও আগের শ্বশুর-শাশুড়ি মিমকে হত্যা করে মরদেহ বাড়ির পাশে মাটিতে পুতে রাখে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফরহাদ হত্যার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রথম স্ত্রী ইমা এবং তার বাবা তফের আলী ও মা সুখজান বাল্যবধূ মিমকে হত্যা করলে দালান ঘর এবং ব্যবসা করার জন্য টাকা দেবে। লোভে পড়ে বিয়ের চারদিনের মাথায় বাল্যবধু মিমকে গলাটিপে হত্যা করে ফরহাদ। স্ত্রীকে হত্যার পর বসতবাড়ির পেছনে মাটির নিচে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করেন তিনি। মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে ফরহাদের দেখানো জায়গা থেকে মাটি খুড়ে মিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাসিম/তৌহিদ)