ঝড়, নাটোরে বোরো ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা

ক্ষতিগ্রস্ত ধানক্ষেত দেখছেন এক কৃষক।

ঝড়, নাটোরে বোরো ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা

নাটোর প্রতিনিধি

কালবৈশাখী ঝড় বৃষ্টিতে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিলের বোরো ধানের শীষের ফুল ঝড়ে পড়ায় ফলনে বিপর্যয়ের শঙ্কায় পড়েছে কৃষকরা। ঝড়-বৃষ্টিতে অন্য ফসলের উপকার হলেও আমের গুটি, মাঠের ভুট্রা, কলাবাগান, চারা পেঁয়াজের কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার বিকেল থেকে শুধু কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলেও ভোর রাতে প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ায় এ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

শনিবার হালতি বিলের বিভিন্ন এলাকা ঘুড়ে ও কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল দুটা থেকে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলেও ভোর রাতে প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়।

এতে হালতি বিলের বোরো জিরাশাইল ধানের শীষের ফুল পড়ে ও কিছু কিছু এলাকায় শীষ বের হওয়া ধান গাছ মাটিতে পড়েছে। এতে কৃষকরা ফসলের ফলন বিপর্যয়ের শষ্কায় রয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে আরোও দেখা যায় হালতি বিলে অন্য জাতের ধানের শীষ তেমন বের না হলেও জিরাশাইল জাতের ধানের শীষ বের হয়ে গেছে। শুক্রবারের ঝড়ো বৃষ্টিতে সেই জিরাশাইল ধানের শীষের ফুল পড়ে যাচ্ছে।

এ ছাড়া কালবৈশাখী ঝড় বৃষ্টিতে ভুট্রা, আমের গুটি, কলা বাগান ও পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পশ্চিম মাধনগর গ্রামের কৃষক বিরেন চন্দ্র সিং জানান, আমার ৩৫ বিঘা জমির মধ্যে ২০ বিঘা জমিতে জিরাশাইল জাতের ধানের শীষ বের হয়েছে। ঝড় বৃষ্টিতে আমার জিরাশাইল জাতের ধানের র্শীষের ফুল পড়া দেখে সব আনন্দ মাটি হয়ে গেছে।

মাধনগর বানেপুকুর এলাকার আরেক কৃষক আরমান হোসেন জানান, আমার ১৫ বিঘা জমির জিরাশাইল ধানের শীষ বের হচ্ছে এর মধ্যে ঝড়বৃষ্টির আঘাতে ধানের শীষের ফুল পড়ে সব ধান চিটা হয়ে যাবে।

সোনাপাতিল গ্রামের কৃষক শাহিন আলম, আসাদ আলী জানান, আমাদের মৌচা আসা ভুট্রা, পেঁয়াজ গাছ মাটিতে লুটে পড়েছে। জিরাশাইল ধানের শীষের ফুল পড়ে ফলন কমে যেতে পাড়ে।

উপজেলা কৃষি অফিসার আমিরুল ইসলাম জানান, এবার উপজেলায় মোট সাড়ে আট হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন জাতের ধানে শীষ বের হতে শুরু করেছে। তবে শুক্রবার বিকেলের ঝড়ে ও রাতে ঝড়ো বৃষ্টিতে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। যেসব ধানের শীষের ফুলে পরাগায়ন হলে সেসব ধানের শীষের ফুল পড়ে গেলেও ফলনের কোনো ক্ষতি হবে না, তবে যেসব ধানের শীষের ফুলে পরাগায়ন না হলে সেসব ফুল পড়ে গেলে ধানের ফলন কমতে পাড়ে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাসিম/তৌহিদ)