মুচলেকা দিয়ে এক বছর সময় পেল বিজিএমইএ

বিজিএমইএ ভবন

মুচলেকা দিয়ে এক বছর সময় পেল বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ভবন ভাঙতে মুচলেকা দিয়ে আরও এক বছর সময় পেয়েছে কর্তৃপক্ষ।  

রাজধানীর হাতিরঝিলে অবস্থিত ভবনটি ভাঙতে আদালতের দেয়া নির্দেশ পালনে আর সময় চেয়ে আবেদন করবে না বলে দেওয়া অঙ্গীকার সোমবার মঞ্জুর করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।  

আদেশের পর আদালত বিজিএমইএ’র উদ্দেশে বলেন, ‘মনে রাখবেন আপনারা যা সময় চেয়েছেন, তাই পেয়েছেন। এক বছর চেয়েছেন, এক বছর ১০ দিন পেয়েছেন।

কারণ, আগের দেয়া সময় আগামী ১২ এপ্রিল পর্যন্ত আছে। তার মানে এখানে ১০ দিন। আর এখন পেলেন এক বছর। মোট এক বছর ১০ দিন পেলেন।
এবার যেন আদালতের নির্দেশ পালন হয়। ’

এর আগে মুচলেকা সংশোধন করে তা যথাযথভাবে দিতে আজকের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। সংশোধন করে মুচলেকা আদালতে উপস্থাপনের পর তাদের সময় আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগের তারিখে মুচলেকা আদালতে উপস্থাপনের পর আদালত লক্ষ্য করেছিল, প্রতিষ্ঠানটির ‘বর্তমান’ বোর্ড অব ডিরেক্টর ভবন ভাঙার আদেশ পালনে আর সময় চেয়ে আবেদন করবে না বলে উল্লেখ করেছে।

তখন আদালত বলেন, ‘বর্তমান বোর্ডতো পরবর্তী মেয়াদে নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে কী হবে?’ এ পর্যায়ে আদালত নির্দেশ দেন, মুচলেকা সংশোধন করে যথাযথভাবে দেওয়ার জন্য।

সেখানে ‘বোর্ড’ নয়, বিজিএমইএ সামগ্রিকভাবে আদালতের নির্দেশ পালন করবে এবং আর সময় চাইবে না মর্মে মুচলেকাতে লেখা থাকবে। ওই নির্দেশ অনুসারে আজ মুচলেকা উপস্থাপন করা হয়।

আদালতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর এই রুল শুনানিতে হাইকোর্টে এমিকাস কিউরি হিসেবে থাকা আইনজীবী মনজিল মোরসেদও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২০১৬ সালের ২ জুন বিজিএমইএ’র করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর ওই বছরের ৮ নভেম্বর ১৬তলা ভবনটি অবিলম্বে নিজ খরচে ভেঙে ফেলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। কিন্তু ৮ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদন করে বিজিএমইএ।

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার নির্দেশ দেয়া হয়। রায়ে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে বিজিএমইএ ভবন একটি ক্যান্সারের মতো’ উল্লেখ করা হয়।

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর