নিজের পোষা ছাগল ছানাকে নিয়ে যাচ্ছিল বাঘ। এ দৃশ্য দেখে ঠিক থাকতে পারেননি রুপালী। বুকভরা সাহস নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েন বাঘের ওপর। বাঘটিও উল্টো আক্রমণ করে তরুণীর ওপর।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের এক পর্যায়ে হাল ছেড়ে দিয়ে বনে পালিয়ে যায় বাঘ।পরে বাঘের সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ের পর রক্তাক্ত চেহারায় সেলফিও তোলে তরুণী। সে ছবি এখন ব্যাপকভাবে ভাইরাল। রীতিমতো বিখ্যাত হয়ে গেছেন ২৩ বছর বয়সী মেয়েটি।
তবে তার প্রিয় ছাগলটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ভারেতের মহারাষ্ট্রে।
রুপালি বলেন, ছাগলের চিৎকার শোনার পর তিনি দৌড়ে মহারাষ্ট্রের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। একটি লাঠি তুলে নিয়ে বাঘটিকে আঘাত করতে থাকেন।
এ সময় ছাগল ছেড়ে তাকে (তরুণী) আক্রমণ করে বাঘটি। এ ঘটনায় তরুণীর মা-ও আহত হয়েছেন। পরে বাড়ির ভেতরে টেনে নিয়ে তাকে রক্ষা করেন তার মা। আহত ওই তরুণী ও তার মাকে চিকিৎসার দেওয়া হয়েছে। তবে বাঁচানো যায়নি ছাগলকে।
আক্রান্ত হওয়ার পর একটি সেলফি তুলেন মেশরাম। গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রে এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে মঙ্গলবার। তার মুখে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ দেখা যাচ্ছে ওই ছবিতে।
বাঘের সঙ্গে লড়াইয়ে আহত তরুণীর চিকিৎসক বলেছেন, ওই তরুণীর সাহস সবাইকে অবাক করে দেয়। তরুণীর সৌভাগ্য যে বাঘ কামড় বসাতে পারেনি তার শরীরে। তবে মেশরামের মাথায়, কোমড়ে, পায়ে ও হাতে আঘাতের ক্ষত রয়েছে। তবে তা গুরুতর নয়। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন এই তরুণী।
মেশরামের মা জিজাভাই বিবিসিকে বলেন, আমি মনে করেছিলাম, আমার মেয়ে মরতে যাচ্ছে। রক্তাক্ত শরীরে মেয়েকে বাঘের সঙ্গে লাঠি নিয়ে লড়াই করতে দেখে ভয় পেয়েছিলেন তিনি।
ঘটনার ১০ দিন পর রুপালি মেশরামের একটি ছবি তোলে বিবিসি। এতে দেখা যায়, তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। আক্রান্ত হওয়ার সময় তারা বনের এক নিরাপত্তারক্ষীকে ডেকেছিলেন। ওই নিরাপত্তারক্ষী আসার আগেই চলে গেছে বাঘটি।
বনের কাছেই রুপালি মেশরামদের ওই গ্রামে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী হামলা চালায়। মেশরাম বলেন, এ ধরনের হামলার শিকার হওয়ার পর শিগগিরই যে গ্রামে ফিরতে পারব তা নিয়ে আমি একটু চিন্তিত ছিলাম। তবে আমি ভীত ছিলাম না।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)