‘বিশ্বায়নের যুগে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধিত হচ্ছে। তাই নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের জ্ঞান-দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে’ - আজ বিকেলে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার প্রতিটি স্তরে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। সময়ের সাথে সাথে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে ব্যর্থ হলে তা যুগের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হবে।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। এতে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আসগর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান।
রাষ্ট্রপতি তার বক্তৃতায় আশা পোষণ করে বলেন, আজকের নবীন প্রকৌশলীরা সৃজনশীল চিন্তা ও প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানের বাস্তব প্রয়োগের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবে।
‘পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক শিক্ষা এবং কেবল সনদ প্রদানই মূল উদেশ্য নয়; বরং মেধাবিকাশ, উন্মুক্ত চিন্তা-চেতনার উন্মেষ ও বুদ্ধিভিত্তিক জ্ঞান চর্চার শ্রেষ্ঠ কেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি, গবেষণা এবং সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে যাতে শিক্ষার্থীরা সম্পৃক্ত হতে পারে তার দ্বার উন্মোচন করাই হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য’ - যোগ করেন আচার্য।
সমাবর্তনে ২০১০-২০১১ থেকে ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিইউআরপি এবং ২য় সমাবর্তনের পর হতে এ সময়কাল পর্যন্ত পিএইচডি, এমফিল, এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও এমএসসি অর্জনকারীদের সনদ প্রদান করা হয়।
স্নাতক পর্যায়ে ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি ৩৮জন কৃতি গ্রাজুয়েটকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক’ প্রদান করেন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরুর আগে ময়মনসিংহের ভালুকায় বিস্ফোরণে নিহত কুয়েটের ৪ শিক্ষার্থীর স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
শাহীন/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর
