সকালের নাস্তা চা-ডাল-খিচুড়িও খাননি সাল্লু

সকালের নাস্তা চা-ডাল-খিচুড়িও খাননি সাল্লু

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ভারতের যোধপুর সেন্ট্রাল জেলের ২ নম্বর ব্যারাকের ১০৬ নম্বর কয়েদি সালমান খান। এটাই তার বর্তমান পরিচয়। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণার পর যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে ঠাই হয় সাল্লুর। কিন্তু, জেলের প্রথম রাতে কিছু খাননি ভাইজান।

এমনকি সকালে চা-ডাল দেওয়া হলেও তিনি তা খাননি।

সূত্রে জানা গেছে , বৃহস্পতিবার জেলে রাত কাটানোর জন্য সালমানের ম্যানেজার তাঁকে বেশ কিছু পোশাক এবং স্ন্যাকস দিতে যান। কিন্তু, সালমান পোশাক পেলেও স্ন্যাকস পাননি। এরপর রাতের খাবারে সালমানকে রুটি ছোলার ডাল এবং বাধাকপির তরকারি দেওয়া হয়।

কিন্তু, জেলের খাবার মুখে তোলেননি তিনি।

শুধু তাই নয়, অন্য কয়েদির মতো সালমানকে জেলের পানি দেওয়া হয়। তাতে কোনো আপত্তি জানাননি তিনি। পাশাপাশি সালমানের মতো ভিআইপি কয়েদিদের জন্য পৃথক শৌচাগারের ব্যবস্থা থাকলেও, সালমান তা ব্যবহার করেননি। অন্যদের মতোই তিনি জেলের শৌচাগার ব্যবহার করেছেন।

আরেকটি সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে যোধপুর জেলে সকালের নাস্তা চা, ডাল এবং খিচুড়ি। কিন্তু, সালমান নাকি তা খাননি।

জেল সূত্র জানায়, সালমানের জন্য জেল চত্ত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলের মধ্যেই চারজনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলে থাকাকালে যাতে কোনওভাবেই সালমানের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়, সেদিকে কড়া নজর রয়েছে জেল কর্তৃপক্ষের।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮র' ২ অক্টোবর ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’-এর  শুটিংয়ের সময় যোধপুরে ঝামেলায় জড়ান সালমান খান। ভারতের রাজস্থানের যোধপুরের কঙ্কনিতে বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করেন সালমান খান। তার সঙ্গে ছিলেন- সাইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে এবং তব্বু। ওই ঘটনার পরই মামলা দায়ের করা হয় সালমান, সাইফদের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে মামলা চলার পর বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করে ভারতের যোধপুর আদালত। বণ্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের ৯/৫১-এর ধারায় সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সাইফ আলি খানসহ বাকিদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)


 

সম্পর্কিত খবর