সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় খাদিজা খাতুন সেতু নামের ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী পুরুষে রুপান্তরিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার সকালে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ একনজর দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে তার বাড়িতে। খাদিজা উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়নের তাড়াশ গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার হাসমত আলীর মেয়ে।
তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডা. এহিয়া কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তরুণীর বাড়িতে হাজারো মানুষের ভির। প্রতিবেশীরা গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন বাড়ির সামনের উঠানে। দূর-দূরান্ত থেকেও দলবেধে উৎসুক জনতা ছুটে আসছেন তাদের বাড়িতে। আগের জীবন এবং বদলে যাওয়া জীবন নিয়ে প্রশ্নের যেন শেষ নেই মানুষের।
খাদিজার বাবা হাসমত আলী জানান, স্থানীয় স্কুল-কলেজ থেকে এসএসসি ও এইসএসসি পাশ করেন মেয়ে খাদিজা খাতুন সেতু। গত বছর ঢাকাস্থ একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ালেখা শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সহপাঠী প্রথমে সেতুর পুরুষে হওয়ার বিষয়টি তাকে অবগত করেন। এর মাত্র কয়েকদিন পর সেতু নিজে থেকেই বাবা-মাকে জানিয়ে দেন।
খাদিজার মা নাজমা খানম জানান, তিনি অনাবৃত করে ভালো করে দেখেছেন মেয়েকে। তার শারীরিক পরিবর্তনের ঘটনা পুরোপুরি সত্য। খাদিজা খাতুন সেতুর নাম রাখা হয়েছে মো. সাহুল সিদ্দিকী।
সাহুল সিদ্দিকী জানান, গত মার্চ মাসের ৩০ তারিখ রাতে ঘুম থেকে জেগে হঠাৎ তার শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন। পরে বাবা-মা ও নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন। পরে এক অভিজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে নারী থেকে পুরুষে রুপান্তরিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
তাড়াশ সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল শেখ জানান, এ ঘটনায় উৎসুক মানুষের ভির লক্ষ করা যাচ্ছে। সবার মুখে মুখে এখন শুধু খাদিজার কথাই। এটি এখন টক অব দ্যা কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডা. এহিয়া কামাল জানান, হরমনের কারণে এরকম দৈহিক পরিবর্তন হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
