২ হতদরিদ্র বনচারীর মামলায় সালমান আজ জেলে

২ হতদরিদ্র বনচারীর মামলায় সালমান আজ জেলে

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় পাঁচ বছরের সাজা হয় বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের। ভারতের রাজস্থানের বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তার এ সাজা হয়। প্রায় ২০ বছর যাবত এই রায়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বিষ্ণোইরা। অবশেষে অপেক্ষার অবসান হলো।

বৃহস্পতিবারই যোধপুর আদালত কৃষ্ণসার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করে।

কিন্তু কারা এই বিশেষ উপজাতি?‌ যাঁদের অভিযোগে বলিউডের সল্লু মিঞাকে জেলে রাত কাটাতে হলো।

হিন্দু ধর্মের অন্তর্গত এই বিষ্ণোই উপজাতি প্রকৃতি ও পশুপ্রেমী। রাজস্থানের পশ্চিমদিকে এ উপজাতির বসবাস।

তবে হরিয়ানার বেশ কিছু জায়গায় বিষ্ণোইদের দেখতে পাওয়া যায়।

সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে রাজস্থানে এই বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের অভিযোগরে ওপর ভিত্তি করে বন্যপ্রাণী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত এক হাজার ৭০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০ বছর ধরে এই উপজাতি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় ‘‌সুপারস্টার’‌ সালমান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।  

জানা গেছে, ১৯৯৮র’ সেপ্টেম্বরে যোধপুরে ‘‌হাম সাথ সাথ হ্যায়’‌ ছবির শুটিং চলাকালে সালমান খান দুটি কালো হরিণ হত্যা করেন। কঙ্কাণি গ্রামের বিষ্ণোইরা গুলির শব্দ পান। জিপসি চালিয়ে সালমানকে পালিয়েও যেতে দেখেন।

সালমানের সাজা হওয়ার পেছনে বিষ্ণোইদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সাক্ষীদের মধ্যে পুনমচাঁদ বিষ্ণোই যার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁরই লড়াইয়ের ফল বৃহস্পতিবার দেখা গেলো। দুজন প্রতক্ষ্যদর্শীদের মধ্যে পুনমচাঁদ অন্যতম। যিনি ১৯৯৮ সালে ১ অক্টোবর মধ্যরাতে সালমান খানকে দুটি কালো হরিণের ওপর গুলি চালাতে দেখেন।

পুনমচাঁদের বিবৃতি সালমানের সাজা ঘোষণাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে বিষ্ণোই উপজাতির প্রতিনিধি হয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে উপস্থিত হন মহিপাল বিষ্ণোই। দ্বিতীয় প্রতক্ষ্যদর্শী ছোগারাম বিষ্ণোইয় অসুস্থ থাকায় তিনি আদালতে যেতে পারেননি। ২০ বছর ধরে মহিপাল বিষ্ণোইসহ এ সম্প্রদায় বিচারের আশায় মামলা লড়ে যাচ্ছে। যোধপুর আদালতের রায়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি পুনমচাঁদসহ বিষ্ণোই সম্প্রদায়।

কোনও ধরনের হিংসাত্মক বিষয় মোটেও পছন্দ করেন না বিষ্ণোইরা। সে কারণে প্রকৃতি ও পশুকে এত বছর ধরে রক্ষা করতে সফল হয়েছেন। সালমানের সঙ্গে অন্য অভিযুক্তদের সাজা হলে আরও ভাল হতো বলে জানাচ্ছেন বিষ্ণোইরা। তাঁরা অন্য অভিযুক্তদের সাজা দেওয়ার দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানা গেছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)


 

সম্পর্কিত খবর