সমালোচনার মুখেও বর্বরতা চালিয়ে যাবে ইসরাইল

সমালোচনার মুখেও বর্বরতা চালিয়ে যাবে ইসরাইল

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

গাজা উপত্যকায় নিরস্ত্র মানুষদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে তাজা গুলি ছুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস নতুন বিক্ষোভকে সামনে রেখে দুই পক্ষকে সংযম অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন।
 
তিনি বলেন, ব্যাপক হতাহতের ঘটনা এড়াতে বলপ্রয়োগের ক্ষেত্রে আমি ইসরাইলকে চরম সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছি। কিন্তু এসব সমালোচনাকে ন্যূনতম আমলে নিচ্ছে না দখলদার দেশটির সেনাবাহিনী।

ইসরাইল উল্টো হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, বিক্ষোভকারীদের প্রতি তাজা গুলি ছোড়া বন্ধ করা হবে না। সীমান্ত বেষ্টনীকে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা ও ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ বন্ধে তাদের নীতিতে কোন পরিবর্তন আসবে না।

মোনা আল শার নামের ৪৩ বছর বয়সী এক যুবক গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ফলের জুস বিতরণ করছিলেন।

তিনি বলেন, আমরা এখানে নিজেদের ভিটেমাটির জন্য এসেছি।

আমরা নিজেদের উন্নত ভবিষ্যৎ দেখতে চাই। ইসরাইলিরা হলেন কাপুরুষ। ওরা কোনোদিন শুধরাবে না।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সহিংসতায় নিয়ে স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে কুয়েত। এর আগের সপ্তাহেও একই উদ্যোগে ব্যর্থ হয়েছিল দেশটি।

জাতিসংঘে কুয়েতের রাষ্ট্রদূত মানসুর আল ওতাইবি বলেন, এটা নিরাপত্তা পরিষদকে সমাধান করতে হবে।

নিরাপত্তা পরিষদের একটি সদস্য দেশের রাষ্ট্রদূত বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধরনের যে কোন উদ্যোগ ওয়াশিংটন ব্যর্থ করে দেবে।

বিক্ষোভে নিহতদের পরিবারকে তিন হাজার ডলার ও আহতদের পরিবারকে পাঁচশ ডলার ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দিয়েছে প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্র এলিজাবেথ থ্রোসেল বলেন, নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীরা, যারা ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য ন্যূনতম হুমকি হিসেবে দেখা দেননি, তারাও ব্যাপকহারে হতাহত হয়েছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে তারা সীমান্ত বেড়া থেকে পালিয়ে এসেছেন। এতে বোঝা যাচ্ছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছে।

সূত্র: এএফপি, জেরুজালেম পোস্ট     •      অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর