আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে মিছিল

সংগৃহীত ছবি

কোটা সংস্কার দাবি

আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে মিছিল

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

সরকারের আশ্বাসে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে আন্দোলনকারীদের একটি পক্ষ।  আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে কয়েক শ' শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থী মিছিল বের করে। মিছিলটি রোকেয়া হলের সামনে দিয়ে টিএসসি হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে জড়ো হয়। সেখানে কোটা সংস্কারের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনকারীদের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন এই পক্ষটিকে মিছিল না করার অনুরোধ জানান। তবে সেই অনুরোধ উপেক্ষা করে মিছিল শুরু করে আন্দোলনকারীদের একটি পক্ষ।

কোটা সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা আন্দোলন সম্প্রতি বেগবান হয়। সারা দেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা একযোগে মাঠে নামে।

এর প্রেক্ষিতে সোমবার বিকেলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে সরকারের একটি প্রতিনিধিদলের প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা বৈঠক হয়। বৈঠকে বিদ্যমান কোটার বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে, সরকারে এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে চলমান আন্দোলন আগামী ৭ মে পর্যন্ত স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা।

বৈঠকের পর বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা সরকারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করছেন। তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের সময় গ্রেপ্তার হওয়া সবাইকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীদের একটি অংশ। গত রাতে শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ও বাংলা একাডেমি এলাকায় অবস্থান নিয়ে তারা স্লোগান দিতে থাকে। ওই অংশটিই আজ সকালে মিছিল বের করে।

তবে গতকাল বৈঠকে থাকা কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা বলছেন, যারা আজ মিছিল বের করেছে তারা গতকালের সিদ্ধান্ত না জেনেই করেছে। তাদেরকে বোঝানো হচ্ছে। আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছি।

বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির সংস্কার চেয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসছে। গত রোববার তাদের পদযাত্রা ও অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে।

সম্পর্কিত খবর