ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব নিরসনে এগিয়ে এসেছে আইসিসি

আইসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভ রিচার্ডসন

ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব নিরসনে এগিয়ে এসেছে আইসিসি

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

চিরশত্রু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ক্রিকেট সম্পর্ক এখন নেই বললেই চলে। দু’দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে ভারতের খেলার এখন প্রশ্নই নেই। পাকিস্তান চেয়েছিল তাদের নিজেদের হোম সিরিজ নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে খেলার; কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো ক্রিকেটই খেলবে না তারা।

এমনকি আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে যাতে অন্তত গ্রুপ পর্বে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি না হয়, সে ব্যবস্থা নিতে আইসিসির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী অন্তত দুটি দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ মাঠে গড়াতে পারেনি। পাকিস্তান নানাভাবে চেষ্টা করেছে ভারতের বিপক্ষে খেলার। এমনকি নিজেদের হোম সিরিজও ভারতের মাটিতে এসে খেলার প্রস্তাব দিয়েছিল পিসিবি।

তাতেও ভারত রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান আইনি পথে হাঁটার হুমকি দেয়। শুধু তাই নয়, আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে চার মাস আগে অভিযোগও দায়ের করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

পিসিবির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইসিসি তিন সদস্যের একটি বিতর্ক প্যানেল গঠন করেছে। তাদের কাজ হবে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ মীমাংসা করা। আগামী অক্টোবরের ১ থেকে ৩ তারিখ দুবাইতে এ নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে এবং সেখানেই দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।

আইসিসি তাদের এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আজই তিন সদস্যের একটি বিতর্ক প্যানেল তৈরি করা হয়েছে অনারেবল মাইকেল বিলফ কিউসিকে প্রধান করে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এবং বিসিসিআইয়ের মধ্যে ক্রিকেট নিয়ে যে দ্বন্দ্ব রয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে তিনি শুনানির আয়োজন করবেন এবং এ বিসয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। আইসিসির বিতর্ক রেজ্যুলুসন কমিটির টার্মস অব রেফারেন্সের ভিত্তিতে কমিটির বাকি যে দুই সদস্যকে নির্বাচিত করা হয়েছে, তারা হলেন মিস্টার জ্যান পলসন এবং অনারেবল ড. অ্যানাবেলে এও, এসসি। ’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘দুবাইতে ১ থেকে ৩ অক্টোবল শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। শুনানি শেষে ডিসপুট প্যানেল (বিতর্ক প্যানেল) যে রায় দেবেন, সেটার বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা যাবে না। সেই সিদ্ধান্তই শেষ এবং চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে এবং দুই পক্ষকেই তা মেনে চলতে হবে। ’

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড অভিযোগ করে আসছিল, দুটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ অনুষ্ঠিত না হওয়ার কারণে তারা ৭ মিলিয়ন (৭০ লাখ) ডলার ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে।

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর