ফুঁ দিয়ে বন্যা থামান আগুন বাবা! (ভিডিও)

আগুন বাবা

ফুঁ দিয়ে বন্যা থামান আগুন বাবা! (ভিডিও)

আশিকুর রহমান শ্রাবন

মাত্র ৫’শ টাকায় বন্যার পানি আটকাতে চান? এক ফুঁয়ে উদ্ধার পেতে চান দীর্ঘদিনের মামলা মোকদ্দমা থেকে? আছে সমাধান। জিন-পরী’র আছর, বদ নজর, সংসারে অশান্তি থেকে শুরু করে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিক এমনকী ক্যান্সারও তার কাছে ব্যাপার না! জানতে চান, কে সেই কামেল পীর সাহেব? নাম তার জয়নাল কবিরাজ ওরফে আগুন বাবা।  

আমরা শুনেছি, জয়নাল কবিরাজ নামের এক অলৌকিক ক্ষমতাশালী ফকিরের কথা। যার আধ্যাত্মিক ক্ষমতার মধ্যে অন্যতম হলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঠেকানো! এছাড়া, তার আধ্যাত্মিক ক্ষমতাবলে তিনি অসাধ্যকে সাধন করতে পারেন! জানেন, বশীকরণ বিদ্যা! 

ভাবছেন প্রতিটা বাক্যে এত বিষ্ময় চিহ্ন কেন? তা তো দিতেই হবে; যেখানে সারাদেশ বন্যায় তলিয়ে মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই, সেখানে এক ফুঁ দিয়ে বন্যার পানি আটকানোর মতো ক্ষমতাধর ব্যক্তি বিষ্ময় তো জাগাবেই।

মহান এই সাধক কেন আড়ালে থাকবে বলুন, তাকে আলোতে আনতেই আমরা যাই অন্ধকারে অর্থাৎ ছদ্মবেশে। তখন দিনের আলো সাঁঝের বুকে মিশছে মাত্র। আমরা যাই মেঠোপথ ধরে শুভপুরের পথে। মাইল খানেক হাঁটার পরই চোখে পড়ে লাল নিশান উড়ছে।

তার মানে আমরা কাছাকাছি। হাঁটায় জোর দিয়ে দ্রুত আস্তানায় পৌঁছি আমরা। দেখি বাড়ির ভেতরে জটলার মতন। মনে হচ্ছে কোন মিটিং চলছে। কী নিয়ে মিটিং সেটা আমাদের মুখ্য বিষয় নয়। জয়নাল ফকিরের কেরামতি দেখাই আমাদের লক্ষ্য।  

বাবার দরজার সামনে অপেক্ষার অনুমতি পেয়ে সেখানেই দাঁড়িয়ে আছি। অপেক্ষা দীর্ঘ প্রতীক্ষায় রূপ নেয়ার আগেই আমাদের ডাক পড়ে দরবারের অন্দরে। যেহুতু আমরা শুনেছি বাবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঠেকাতে পারেন। তাই প্রথমে প্রাকৃতিক সমস্যার কথাই তাকে জানাই। বলি আমাদের বাড়ি শরিয়তপুর। বন্যায় তলিয়ে গেছে বাড়ি-ঘর।
 
সমস্যার হালহকিকত মন দিয়ে শোনার পর বাবার খাদেম জানান, আজ সমাধান হবে না। কারণ, বাবা অসুস্থ। সমাধান হবে শুক্রবার অর্থাৎ দুদিন পর। তবে, এই দুদিন যাতে বন্যার পানি আর না বাড়ে সে ব্যবস্থা করে দেবেন বাবা।

দুদিন পর হাঁটি-হাঁটি, পা-পা করে আমারা আবার পৌঁছাই আগুন বাবার আস্তানায়। সঙ্গে দু-তিনজন স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীও আছেন। আছেন আগুন বাবার আবিষ্কারকও।

আস্তানায় পৌঁছে দেখা গেলো বাবা আগের চেয়ে  সুস্থ। তিনি দিব্যি চিকিৎসা দিচ্ছেন। অপেক্ষায় আছেন বেশ ক’জন নারী চিকিৎসা প্রার্থী। আমাদের সাথে কথা বলা শুরু করতে করতে তিনি তাদের পানি পড়াও দিলেন। এবার আমাদের সমস্যা সমাধানের দিকে নজর দিবেন জয়নাল ফকির। আবার আমরা আমাদের সেই পাঁতানো গল্পে ফেরত আসি।

সব কথা শোনার পর বাবা এবার তার অধ্যাত্মিক চিকিৎসা দিবেন আমাদের। শুরুটা করলেন পানি পড়া দিয়ে। এরপর তিনি একটি তাবিজও দিলেন আমাদের। এরপর তিনি আমাদের পানি পড়া কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তার বর্ণনাও দিলেন। পানি পড়া আর তাবিজেই ঠেকিয়ে দেবে বন্যার পানি! 

এ তো গেল বন্যার পানি আটকানোর ব্যাপার। কিন্তু, তার নাম আগুন বাবা হলো কেন? সে আরেক ইতিহাস। আসুন সেদিকটায়ও একটু ঢু মারি।

এক বাবা তার অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে এসেছেন জয়নাল ফকিরের কাছে। তিনি শুনেছেন, বাবা সব সমস্যার সমাধান দেন। চিকিৎসা বিজ্ঞান যেখানে বলছে, এই লোকের সন্তানের হৃদরোগ, সেখানে বাবা বলেছেন জিনের আছর। চিকিৎসা করতে হবে। কী সেই চিকিৎসা? গোপন ক্যামেরায় তোলা ভিডিওতে দেখুন আগুন বাবার সেইসব কেরামতি। একইসঙ্গে চিনে নিন ’কচু বাবা’ নামে আরও এক স্বঘোষিত পীরকে। কেরামতিতে তিনিও কম যান না কিছুতে। দেখুন ভিডিও প্রতিবেদন-

সম্পর্কিত খবর

এই বিভাগের পাঠকপ্রিয়