ক্রিকেটার ওসমান খাজাকে বিয়ে করলেন নওমুসলিম রিচেল

ক্রিকেটার ওসমান খাজাকে বিয়ে করলেন নওমুসলিম রিচেল

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম মুসলিম টেস্ট ক্রিকেটার ওসমান খাজা ও তার বাগদত্তা রিচেল ম্যাকলেলান (২২)। গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে এক অনুষ্ঠানে তারা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।

বিয়ের অনুভূতি নিয়ে নবদম্পতি অস্ট্রেলিয়ার ‘হু’ ম্যাগাজিনকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।

সাক্ষাৎকারে উসমান খাজা নববধূর প্রশংসা করে জানিয়েছেন, রিচেল ইসলাম গ্রহণ না করলেও এটা তার জন্য ‘চুক্তিভঙ্গকারী’ ছিল না।

ওসমান বলেন, আমি আশাবাদী ছিলাম রিচেল ইসলাম গ্রহণ করবে। কিন্তু সে যদি এটা নাও করত, তবু তার কাছ থেকে আমি কখনো আলাদা হতাম না।

রিচেল অস্ট্রেলিয়ার একটি ক্যাথলিক পরিবারে বেড়ে ওঠেন এবং গত বছর ইসলামে ধর্মান্তরিত হন।

রিচেল জানান, ইসলামে ধর্মান্তরের সিদ্ধান্তকে তার বাবা-মা সমর্থন করেছেন।

গত বছর রমজানে তার মা তার সঙ্গে ‘উপবাস’ করেছিলেন বলে তিনি জানান।

রিচেলকে পেয়ে গর্ব প্রকাশ করে উসমান বলেন, তার বিয়ের দিনটিতে তিনি অশ্রুসিক্ত ছিলেন। রিচেলকে তার স্ত্রীকে হিসেবে পেয়ে তিনি অত্যন্ত গর্বিতবোধ করছেন।

তিনি বলেন, বিয়ের আংটি এখনো আমার হাতে সত্যিই রহস্যময় মনে হয়। রিচেলকে আমার স্ত্রী হিসেবে পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত।

গত শুক্রবার সানশাইন কোস্টের ম্যালেনি ম্যানরে এই দম্পতির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

ডিজাইনার জেসন গ্রেচের তৈরি করা একটি চমৎকার গাউন পরেছিলেন রিচেল।

এর আগে গত মাসে এক সাক্ষাৎকারে রিচেল ম্যাকলিলান জানিয়েছিলেন, খাজার সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ইসলাম নিয়ে তার ভুল ধারণা ছিল। তিনি আগে কোনো মুসলমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। খাজাই তার সাক্ষাৎ করা প্রথম মুসলমান।

তিনি বলেছিলেন, আমি উসমান খাজার সম্পর্কে অজ্ঞ ছিলাম, আমি তা স্বীকার করব। খবরে যা শুনেছি কেবল তাই জেনেছি। আমি যা শুনেছি, তার সবটাই ছিল সন্ত্রাসী এবং ভয়াবহ জিনিস।

২০১৬ সালের জুলাইয়ে নিউইয়র্কে ছুটি কাটানোর সময় খাজাই প্রথম তার একসময়কার বান্ধবী রিচেলকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। রিচেল বিসব্রেনের একটি ধার্মিক ক্যাথলিক পরিবারে জন্মগ্রহণ।

তাদের সম্পর্ক উষ্ণ হওয়ার কারণে এই ব্যাটসম্যান বলছিলেন, তিনি রিচেলকে তার জন্য ধর্ম পাল্টানোর জন্য কখনো কোনো চাপ দেননি।
জোর দিয়ে বলেন, এই সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণরূপে রিচেল নিজেই নিয়েছেন।

রিচেল বলেন, ধর্মান্তরের জন্য খাজার কাছ থেকে কোনো চাপ ছিল না। এমনকি তার পরিবার থেকেও না। আমি শুধু জানতাম এটা তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর