সিরিয়ায় হামলার বিকল্প ছিল না: থেরেসা মে

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর থেরেসা মে।

সিরিয়ায় হামলার বিকল্প ছিল না: থেরেসা মে

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

সিরিয়ায় হামলা চালানো ছাড়া বিকল্প পথ ছিল না বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর থেরেসা মে। তিনি বলেছেন, আমরা আমেরিকা এবং ফরাসি মিত্রদের সঙ্গে একযোগ কাজ করছি।

সিরিয়ার হামলা চালাতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দেন থেরেসা মে।

জাতির উদ্দেশ্যে ভাষনে মে বলেন, সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের সামর্থ্য ধ্বংস করতে।

তা ব্যবহার হতে নিবৃত রাখতে সমন্বিত হামলা চালানোর জন্য আমি ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীকে অনুমতি দিয়েছি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে লড়াইয়ের জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিদ্ধান্তটি আমি হালকাভাবে নেইনি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারণ আমি মনে করি এই পদক্ষেপ ব্রিটেনের জাতীয় স্বার্থে কাজ করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে সিরিয়ার সঙ্গে স্বাভাবিক হওয়ার জন্য আমরা রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারি না। একটি বিকল্প পথ বেছে নিতে হয়েছে।

গত শনিবার সিরিয়ার ডুমাতে রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় শিশুসহ অন্তত ৭৫ জন নিহত হয়। আসলে এই আক্রমণে আন্তর্জাতিক মহলকে অবাক করেনি। কেননা সিরিয়ার শাসকদের তাদের নিজেদের জনগণের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর এবং ঘৃণাত্মকভাবে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ইতিহাস রয়েছে।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় গত সপ্তাহের রাসায়নিক অস্ত্র হামলার জবাবে শুক্রবার বাশার সরকারের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরুর নিদের্শ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফ্রান্স ও ব্রিটেন একযোগে সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন স্থাপনায় বোমা হামলা চালানো শুরু করেছে।

পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মোট তিনটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে। একটি হচ্ছে দামেস্কের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র প্রস্তুতকারী একটি গবেষণাগার। অন্য দুটি হোমসে রাসায়নিক অস্ত্র রক্ষণাবেক্ষণ কেন্দ্র ও রাসায়নিক অস্ত্রের যন্ত্রাংশ রক্ষণ কেন্দ্র। হামলায় মার্কিন টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

এদিকে, সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভির খবরে জানানো হয়েছে, সিরিয়ার শহর হামায় মার্কিন যৌথ বাহিনীর বিমান হামলায় তিনজন বেসামরিক লোক আহত হয়েছে।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর