নিউইয়র্কে জেবিবি'র বৈশাখী মেলায় মানুষের ঢল

নিউইয়র্কে জেবিবি'র বৈশাখী মেলায় মানুষের ঢল

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে

প্রাণের আমেজ আর হৃদয়ের উষ্ণতায় ১৪২৫কে বরণ করে নিয়েছে আমেরিকায় প্রবাসী বাঙালিরা। ১৪ এপ্রিল শনিবার বছরের প্রথম দিনে নিউইয়র্ক সিটির প্রবাসী বাঙালিরা আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী সন্তানসহ ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ সঙ্গীতে অংশ নেন।

হৃদয় দোলা দেওয়া এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আনন্দধ্বনি নামক একটি সংগঠক। তারা দৃপ্ত প্রত্যয়ে ঘোষণা করেন, ‘আমরা তুলে ধরতে চাই সেই বাংলাদেশ, যার উৎসে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, যা অবিভক্ত বাঙালি সংস্কৃতির মন্ত্রে উজ্জীবিত, যার অস্থি-মজ্জায় অসাম্প্রদায়িকতা।

আমরা একথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই বাংলাদেশকে ভালোভাবে উপস্থাপিত করতে পারে বাঙালির সংস্কৃতি। তার গান ও কবিতা, তার রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও লালন।

এর রেশ থাকতেই পান্তা-ইলিশের আমেজে ‘জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস এসোসিয়েশন’ তথা জেবিবিএর বৈশাখ বরণের অনুষ্ঠানে বাঙালিদের ঢল নামে। মার্কিন রাজনীতিক, এটর্নী, বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

 


এ উপলক্ষে গঠিত মেলা কমিটির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, সদস্য সচিব ফাহাদ সোলায়মান, যুগ্ম সদস্য-সচিব সাজ্জাদ হোসাইন, প্রধান সমন্বয়কারি জে মোল্লাহ সানি, জেবিবিএর আহবায়ক কমিটির নেতা মহসিন ননী, এম রহমান, মো. পিয়ার, কাজী মন্টু, মো. মহসিন মিয়াও উপস্থিত সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন।

জেবিবিএর পরিচালনা পরিষদের নেতা আবুল ফজল দিদার, মো. পিয়ার, মহসিন মিয়া, উপদেষ্টা পরিষদের হারুন ভুইয়া, মনসুর এ চৌধুরী, মো. কামরুল, বিদ্যুৎ সরকার, সিরাজুল হক কামাল, প্রদীপ সাহা, আব্দুল নোমান শাকিল, রফিক আহমদ, রুহুল আমিন সরকার, মো, নমী, আব্দুর রহমান বিশ্বাসকে পাশে নিয়ে বিপুল করতালির মধ্যে বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করা হয়।

মোশারফ হোসেন পরিচালনায় এ সময় বিশিষ্টজনদের মধ্যে মঞ্চে আরো ছিলেন, কুইন্স ডেমক্র্যাটিক পার্টির লিডার এটর্ণী মঈন চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ কামাল আহমেদ, সহ-সভাপতি এম এ খালেক খায়ের এবং সেক্রেটারি রুহুল আমিন সিদ্দিকী, খান’স টিউটোরিয়ালের প্রেসিডেন্ট নাঈমা খান, নুরল আমিন বাবু, বিপ্লব সাহা, সাদী মিন্টু, মনিকা রায়, সবিতা দাস, কম্যুনিটি লিডার বাকির আজাদ।

চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্যের পরিপূরক সঙ্গীতে অংশ নেন সেলিম চৌধুরী, জলি দাস, শাহ মাহবুব, এটর্নী মঈন চৌধুরী। এদের গানে পুরো মেলা নেচে উঠেছিল বাঙালি ঢংয়ে। বৈশাখী আমেজের এ ছন্দ বিস্তৃত হয় ভিনদেশীদের মধ্যেও। এক পর্যায়ে পুরো জ্যাকসন হাইটস যেন থমকে দাঁড়ায় বাঙালির প্রাণে প্রাণে মিশে যাওয়ার অভূতপূর্ব এ পরিবেশে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর