রানে গেইলকে টপকে গেলেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি ধোনি

ঝোড়ো ফিফটি দিয়ে হলো গেইলের

রানে গেইলকে টপকে গেলেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি ধোনি

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ম্যাচের বয়স তখন ১০ ওভারও হয়নি। চেন্নাই সুপার কিংসের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা হলো, ‘ক্রিস গেইল দয়া করে কিছুক্ষণের জন্য একটু বিশ্রামে যান। এক ওভারের জন্য হলেও যান!’ মজা করে বলা হলেও চেন্নাইয়ের সব সমর্থক নির্ঘাত এমনটাই ভাবছিল তখন। যে মূর্তে আবির্ভূত হয়েছিলেন গেইল, তাতে যে চেন্নাইয়ের ম্যাচ থেকেই ছিটকে আওয়ার দশা।

পরে অবশ্য মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছে আড়াল হতে বসেছিলেন গেইল। রানে গেইলকে টপকে গেলেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি ধোনি। চেন্নাইকে ৪ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় জয় পেল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।

প্রথম দুই ম্যাচ বসিয়ে রাখা হয়েছিল গেইলকে।

এমন কিছু যে তাঁর মোটেও পছন্দ হয়নি সেটা বোঝাতেই যেন নেমেছিলেন আজ। কিন্তু লোকেশ রাহুলের জন্য প্রথম তিন ওভারে খুব একটা স্ট্রাইক পাচ্ছিলেন না। চতুর্থ ওভার থেকে একটু নিয়মিত বলের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পেলেন। ফল, সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলেই ফিফটি। ২২ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ফিফটি ছোঁয়া গেইল সপ্তম ওভারটা শেষ করলেন চতুর্থ ছক্কা মেরে। ২৪ বলে ৫৬ রান করার পথে মাত্র ৪টিই সিঙ্গেল তখন গেইলের।

কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের রান তখন ৯২! পরের ওভারটা দুর্দান্ত হলো হরভজনের। মাত্র ৪টি রান দিলেন সঙ্গে রাহুলকেও (২২ বলে ৩৭) আউট করে দিলেন। গেইল উইকেটে থাকলেন আরও কিছুক্ষণ। পাঞ্জাবের ১০ ওভার শেষ হলো ১ উইকেটে ১১৫ রানে। গেইল অপরাজিত ৩০ বলে ৬১ রানে। দুই শ? আড়াই শ হবে নাকি সে আলোচনাও হচ্ছিল।

একটুর জন্য দলকে জেতাতে পারেননি ধোনি। ছবি: এএফপিএকটুর জন্য দলকে জেতাতে পারেননি ধোনি। ছবি: এএফপি
চেন্নাই ঘুরে দাঁড়াল এর পর। শেন ওয়াটসনের বলে ইমরান তাহিরের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন গেইল (৩৩ বলে ৬৩, ৭ চার ও ৪ ছক্কা)। ১৫তম ওভারে টানা দুই বলে আগারওয়াল ও অ্যাডাম ফিঞ্চকে আউট করে দিয়ে তাহিরই রান উৎসবে বাধ দিলেন। করুণ নায়ারের সুবাদে ১৯৭ রান তুলতে পারল পাঞ্জাব।

তাড়া করতে নেমে একদম বাজে শুরু হয়েছে চেন্নাইয়ের। সপ্তম ওভারের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলল ধোনির দল। চেন্নাইয়ের রান তখন ৫৬। ধোনির উইকেটে আবির্ভাব তখন। আম্বাতি রাইডুকে নিয়ে স্রোতের বিরুদ্ধে লড়া শুরু হলো। ৭ ওভারে ৫৭ রানের জুটি গড়ে রাইডু ফিরলেন ৪৯ রানে। কিন্তু ধোনি তো ছিলেন। চেন্নাইয়ে তাঁর বহুদিনের সঙ্গী রবীন্দ্র জাদেজাও হাজির হলেন উইকেটে। দুজনে মিলে পাল্টা আক্রমণে গেলেন। ২৮ বলে ৫০ রানের জুটিতে পাঞ্জাবকে ভয় পাইয়ে দিতে শুরু করেছিলেন দুজন।

কিন্তু যখনই ফিনিশিং লাইনের দেখা মিলছিল তখনই আউট জাদেজা (১৯)। ১০ বলে ৩৫ রান দরকার চেন্নাইয়ের। টাইয়ের তৃতীয় বলে ছক্কা, পরের বলেই চার। ৮ বলে লাগবে ২৫ রান! শেষ বলে আরও এক ছক্কায় সেটা দাঁড়াল ৬ বলে ১৭-তে!

প্রথম বলে ডোয়াইন ব্রাভোর এক রান। পরের বলে ডট। পরের বলে ওয়াইড। ৪ বলে দরকার ১৫। তৃতীয় বলে ইয়র্কার লেংথের বল পয়েন্ট ও গালির মাঝ দিয়ে চার মারলেন ধোনি। চতুর্থ বল ডট! পঞ্চম বল বাউন্ডারিতে গেল, কিন্তু কোনো রান নিলেন না ধোনি। শেষ বলে ঠিকই ছক্কা মারলেন কিন্তু দলের জয়টা আর এনে দিতে পারলেন না। ১৯৩ রানেই সন্তুষ্ট হতে হলো চেন্নাইকে। ৪৪ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৯ রানে অপরাজিত ধোনি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)

সম্পর্কিত খবর