ঝালকাঠিতে প্রকল্প কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ 

ঝালকাঠিতে প্রকল্প কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ 

এস এম রেজাউল করিম • ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নাসরিন সুলতানার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছেন জনপ্রতিনিধিরা। এসময় তার অপসরণ ও বিচার দাবি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

উপজেলায় পিআইও নাসরিন সুলতানা যোগদানের পর পাল্টাপাল্টি অভিযোগে কয়েক মাস ধরে পিআইও এবং উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। ফলে রাজাপুরের জন্য দু’দফা বরাদ্দকৃত টিআর, কাবিখা, কাবিটা, অতি দরিদ্রদের ৪০ দিন কর্মসূচি, ত্রাণের ব্রিজ নির্মাণ, সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন ও বিশেষ বরাদ্দ প্রকল্পের প্রায় ২০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।

এতে উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে এবং বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।  

বিষয়টি নিয়ে গতকাল জেলা প্রশাসক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণায়লকে অবহিত করেও জনপ্রতিনিধিরা কোন সুরাহা না পেয়ে আজ সকালে তারা তাদের অভিযোগ ও দাবি নিয়ে প্রকাশ্যে আন্দোলন শুরু করে।  

উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে পিআইওর অপসরণ দাবি করে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে বিক্ষুব্ধ জনপ্রতিনিধিরা। পরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিতপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক হামিদুল হক।

 

উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামানের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীরা শান্ত হয়ে উপজেলা সভাকক্ষে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হন। অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামান ছাড়াও সভায় বক্তব্য রাখেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মজিবর মৃধা, সাতুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, মঠবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সিকদার ও শুক্তাগড় ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক মৃধা, তৌহিদুল ইসলাম ও ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম তারেক প্রমুখ।

কর্মসূচিতে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সকল সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর ও ইউপি মেম্বারগণ একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেন।

এ ব্যাপারে পিআইও নাসরিন সুলতানার কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সদর চেয়ারম্যান ফুলুহার স্কুলের মাঠ বরাটের একটি বিল পাশ করতে বলেন, তিনি নাকি ৩ বছর পূর্বে কাজ করেছেন।

‘সে বিল পাশ করা সম্ভব না বলায় এবং অন্যান্য ইউনিয়নে ৪০ দিনের কাজ ঠিকমত হয় না, সেগুলোর বিল কেটে দিয়ে প্রস্তুত করতে বলায় তারা ক্ষিপ্ত। এছাড়া টিআর এর কোন কাজই হয়না। এসব প্রকল্পের কাজ না করেই বিল উত্তোলন করতে চাইলে সে বিল পাশ না করায় তারা আমার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ’

রেজাউল/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর