আগুনে পুড়লো সাজেকের ৩ কটেজ ও কাপ্তাইয়ের ৫৩ ঘর

আগুনে পুড়লো সাজেকের ৩ কটেজ ও কাপ্তাইয়ের ৫৩ ঘর

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

কাপ্তাইয়ের রাইখালী ইউনিয়নের নারাণগিরি বড়পাড়ায় রোববার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫৩টি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে ধারণা করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

এ ঘটনায় সোমবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. দিলদার হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা ও নুর নাহার বেগম, কাপ্তাই থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল আলম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুপ্তশ্রী সাহা, রাঙ্গামাটির সাংসদের প্রতিনিধি বিক্রম মারমা, রাইখালী ইউপি চেয়ারম্যান সায়া মং মারমা। পরিদর্শন শেষে সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে নগদ ১ হাজার টাকা ও ২০ কেজি চাল করে দেওয়া হয়।

ঘরের চুলার আগুন থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
news24bd.tv

মঙ্গলবার সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে, রোববার দিবাগত রাত পৌনে ২টার সময় রাঙ্গামাটির সাজেকে অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পর্যটন কটেজ সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পানির তীব্র সঙ্কট থাকা সাজেক ভ্যালিতে এই অগ্নিকাণ্ডে আগুলের লেলিহান শিখা প্রচণ্ড বাতাসের কারণে মুহূর্তের মধ্যেই চারপাশে ছড়িয়ে যায়।

প্রচণ্ড পানি সঙ্কটে থাকা অবস্থায় আগুন নেভানোর মতো কিছুই ছিলো না। এছাড়া ঘটনাস্থলে বাতাসের তীব্রতায় আগুন চারপাশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কোনো প্রকার বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে দুর্ঘটনার আশঙ্কা সেখানে নেই। এছাড়া এতোটা গভীর রাতে সেখানে কোনো ধরনের রান্নার কাজও চলার কথা নয়? তাহলে আগুনটা লাগলো কিভাবে? এমন প্রশ্ন এখন সাজেকের সবার।

সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, ‘গভীর রাতে আগুন লাগায় এর কারণ সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। তদন্তের পর জানা যাবে। ’

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর