কাঠমান্ডুর ‘সেই বিমানবন্দরে’ অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলো ১৩৯ যাত্রী

কাঠমান্ডুর ‘সেই বিমানবন্দরে’ অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলো ১৩৯ যাত্রী

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর সেই ত্রিভুবন বিমানবন্দরে দুর্ঘটনা যেন পিছু ছাড়ছে না। এবার অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন বিমানের ১৩৯ যাত্রী।  

ত্রিভুবন বিমানবন্দর থেকে আজ ভোরে (২০ এপ্রিল) মালয়েশিয়ার মালিন্দো এয়ারলান্সের একটি বিমান উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই রানওয়ে থেকে ছিটকে যায় বিমানটি।

 

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর শুক্রবার বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়।

বিমানের চাকা পিছলে বিমানটি ছিটকে পড়লেও বড় ধরনের কোনো বিপত্তি বাধেনি। কেউ এই ঘটনায় হতাহত হয়নি।  

মালিন্দো এয়ারলাইন্সের বোয়িং বিমান-৭৩৭ বিমানটির চাকা কাঁদার মধ্যে আটকা পড়ে।

বিমানটিকে সেখান থেকে সরানোর জন্য সে সময় বিমানবন্দরে অন্যান্য বিমানের  ওঠা-নামা বন্ধ রাখা হয়। এতে বাইরে থেকে যেসব ফ্লাইট ওই বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল সেগুলো অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়।

তবে কত সময়ের জন্য ত্রিভুবন বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে তা এখনও নিশ্চিত নয়।  

বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেমনাথ ঠাকুর বলেন, মালয়েশিয়ার ওই বিমানটি কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। কিন্তু উড্ডয়নের সময় সমস্যার মুখোমুখি হন বিমানের পাইলট। বিমানটি ছিটকে রানওয়ে থেকে ৩০ মিটার দূরে কাঁদার মধ্যে আটকে যায়।

news24bd.tv

প্রেমনাথ ঠাকুর জানিয়েছেন, বিমানের সব আরোহীই নিরাপদে আছেন। তবে কী কারণে এ ধরনের সমস্যা হলো সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মাত্র এক মাস আগেই ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত হন।  

এর আগে ২০১৫ সালের মার্চ মাসে তুর্কিস এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ওই একই বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। এতে চারদিন ধরে বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়।

সূত্র: স্ট্রেইটস টাইমস, দ্য মালাই মেইল     •     অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর
 

সম্পর্কিত খবর