প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূল হোতা হুমায়ুন কবীরসহ গ্রেপ্তাতার ১১

প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূল হোতা হুমায়ুন কবীর

প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূল হোতা হুমায়ুন কবীরসহ গ্রেপ্তাতার ১১

বরগুনা প্রতিনিধিঃ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং উত্তর বিতরণ চক্রের মূল হোতা হুমায়ুন কবীরসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তাতার করেছে বরগুনা জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বরগুনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তাতার করা হয়। শুক্রবার বেলা ১টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিংএ এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার বিজয় বসাক।
 
গ্রেপ্তাতারকৃতরা হলেন, বরগুনা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মাহবুব হোসেনের স্ত্রী নাজমুন নাহার নাজমা (৩৮), কন্যা মারিয়া আক্তার (১৬), তালতলী উপজেলার উত্তর ঝাড়াখালী গ্রামের আঃ আজিজ সিকদার-এর ছেলে মোঃ ইউনুস মিয়া (৩৫), বেতাগী উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের আফাজ উদ্দীন-এর ছেলে মোঃ রেজাউল করিম (২৫), পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাজিতা গ্রামের আঃ খালেকের ছেলে মোঃ আরেফিন(২৭), কিশোরগঞ্জ জেলার কাটাখালী উপজেলার বনগ্রামের আঃ কাদেরের ছেলে  মোঃ আলী আকবর (২৮), বেতাগী উপজেলার ৫ নং ওয়ার্ডের আঃ কাদের শরীফের ছেলে সাকিবুর রহমান (২৬) ও হাসান মেহেদী (২৪), বামনা উপজেলার মোঃ মিজানুর রহমানের স্ত্রী মোসাঃ মাছুমা বেগম (৩২) এবং পাথরঘাটা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের মৃত আঃ ছত্তারের মেয়ে মনিরা আক্তার (২৫)।

বরগুনা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ দুই লাখ ৫৮ হাজার টাকা, পরীক্ষার হলে উত্তর সরাবরাহের জন্যে আধুনিক প্রযুক্তির ৭টি ডিভাইস ও ৫টি ক্ষুদ্র হিয়ারিং ডিভাইস, ২৩টি মোবাইল এবং ৬টি প্রবেশপত্র উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষায় বরগুনার আমতলী নিবাসী স্ত্রীকে পাশ করাতে সিলেটের জকিগঞ্জ থেকে প্রশ্নফাঁস চক্রের অন্যতম সদস্য মাহববুর রহমানের কাছে উত্তরপত্র সরবরাহের ডিভাইস ক্রয় করতে আসে মো. ইউনুস। ডিভাইস কেনার টাকা লেনদেনের সময় তাদেরকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম।

এসময় তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মাহবুবুর রহমানের বাসায় অভিযান চালিয়ে উত্তরপত্র সরবরাহের তিনটি ডিভাইস উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর আজ দিনভর পরিক্ষাচলাকালীন সময় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অন্যন্যদের গ্রেপ্তাতার করা হয়।

বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক(বিপিএম) বলেন, মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে প্রথমে প্রশ্ন ফাঁস করে পরে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সমন্বয়ে অতিক্ষুদ্র গোপন ইয়ার ফোনের মাধ্যমে পরীক্ষার হলে উত্তর সরবরাহের পরিকল্পণা নিয়ে কাজ করছিলো এ চক্রটি।   এ চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তাতারে  এ অভিযান এখনও চলমান রয়েছে।

 

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)

সম্পর্কিত খবর