শিশু হাসমি হত্যা: মা-সহ চারজনের ফাঁসি

শিশু হাসমি হত্যা: মা-সহ চারজনের ফাঁসি

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

খুলনায় ৯ বছরের শিশু হাসমিকে হত্যার ঘটনায় তার মা-সহ চারজনের ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।  

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মাৎ দিলরুবা সুলতানা এ রায় দেন।

মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে হাসমির মা সোনিয়া আক্তার, মো. নুরুন্নবী, মো. রসুল, মো. হাফিজুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে মো. রাব্বিকে খালাস দেওয়া হয়।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৬ জুন রাতে মায়ের সাথে অন্যকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় দেখে ফেলায় নগরীর আড়ংঘাটা থানা এলাকার সরদারডাঙ্গা শহিদ হাতেম আহম্মেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র হাসমি মিয়াকে (৯) খুন করা হয়। মা সোনিয়া বেগমের সামনেই শিশু হাশমিকে নৃশংসভাবে খুন করে তিন ঘাতক। হত্যাকাণ্ডের আগে বারবার শিশুটি তার মাকে ডেকে ডেকে বলেছিল ‘মা আমাকে বাঁচাও’। তবুও পাষণ্ড মা ও তার সহযোগীদের মনে এতটুকু দয়া হয়নি শিশু হাসমির জন্য।


 
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৬ সালে নগরীর মানিকতলার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খানের মেয়ে সোনিয়ার সাথে মো. হাফিজুর রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের ৬ মাস পর হাফিজুর রহমান বিদেশে চলে যান। স্বামীর অনুপস্থিতিতে সোনিয়ার চলাফেরা উচ্ছৃঙ্খল হতে থাকে। সে বিভিন্ন জনের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। দেশে আসার পর বিষয়টি জানতে পারেন স্বামী হাফিজুর রহমান। এরপর তিনি স্ত্রীকে শোধরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে স্ত্রীকে তালাক দেন। হাসমি থেকে যায় পিতার সঙ্গে। হাসমিকে তার পিতার কাছ থেকে অপহরণ করে আনার জন্য নুরুন্নবী ও রসুলের সাথে ৫শ’ টাকা ও অনৈতিক কাজের চুক্তি হয় সোনিয়ার।
 
২০১৬ সালের ৬ জুন রাত পৌনে ৯টার দিকে অপহরণকারীরা শিশু হাসমিকে অপহরণ করে তার মায়ের কাছে নিয়ে আসে। তারপর তাকে হত্যা করা হয়।

সম্পর্কিত খবর