রাজধানীর তুরাগ পরিবহনের একটি বাসে উত্তরা ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার উত্তরায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ মানববন্ধন করা হয়। এ সময় উত্তরা ইউনিভার্সিটির শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী প্রায় অর্ধশতাধিক তুরাগ বাস আটক করে।
উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, ওই ছাত্রী শনিবার দুপুরে উত্তরা ৬নং সেক্টরে উত্তরা ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে আসার জন্য উত্তর বাড্ডা থেকে তুরাগ পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। এ সময় বাসে যাত্রী ছিল মাত্র ৭-৮ জন। পথিমধ্যে হঠাৎ করে হেলপার বলে বাস সামনে যাবে না।
এ সময় ওই ছাত্রীর সন্দেহ হয়। তিনি বাস থেকে নামতে চেষ্টা করলে বাসের হেলপার দরজা বন্ধ করে দেয়। কনট্রাক্টর তার হাত ধরে টানাটানি শুরু করে। কনট্রাক্টর-হেলপারের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে চলন্ত গাড়ি থেকে লাফিয়ে নামেন ওই ছাত্রী। তিনি অন্য একটি বাসে চড়ে ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে এসে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানায়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো সমাধান দিতে পারেনি।
পরে সহপাঠীরা বিষয়টি জেনে আইনগত সহযোগিতার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে। কোনোভাবে কোনো সুরাহা না হওয়ায় রোববার দুপুরে তারা বাসের হেলপার ও কনট্রাক্টরকে আটকের দাবিতে রাস্তায় মানববন্ধন করে। তারা বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দেয়।
বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা তুরাগ পরিবহনের ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৭১৫১, জ-১৪-১২৬৬, ব-১৪-২০৯৮, ব-১৫-০৭৫২, ব-১৪-১৬১৩, জ-১১-২২৩৭, ব-১৪-১৬১৩সহ প্রায় অর্ধশত বাস আটক করে।
ওই ছাত্রীর ওপর সহপাঠী আশিকুল ইসলাম বলেন, ওই গাড়ি এবং তার হেল্পার-কনট্রাক্টর আটক না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, গুলশান থানা এলাকায় ছাত্রীর হাত ধরে টানাটানির একটি ঘটনা তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে গুলশান থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
