চোরদের হামলায় রক্তাক্ত গ্রামবাসী, পাল্টা আক্রমণে গরুচোর আটক

চোরদের হামলায় রক্তাক্ত গ্রামবাসী, পাল্টা আক্রমণে গরুচোর আটক

নাসিম উদ্দীন • নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের বড়াইগ্রামে চুরি যাওয়া গরু ও মহিষ উদ্ধার এবং চোর ধরতে গিয়ে উল্টো সংঘবদ্ধ গরু চোরদের হামলায় আহত হয়েছেন ৭ গ্রামবাসী। পরবর্তীতে খবর পেয়ে আশেপাশের অন্যান্য গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে এক গরু চোরকে আটক করতে সক্ষম হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়।  

এ সময় চুরি যাওয়া ৩টি উন্নত প্রজাতির গরু ও ১টি মহিষ উদ্ধার করে গ্রামবাসী।

 আজ দিনে-দুপুরে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নারায়নপুর স্কুল পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  

খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধৃত চোর ও উদ্ধার হওয়া গরু-মহিষ থানায় নিয়ে আসে। চোরদের হামলায় আহত গ্রামবাসীকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
  
গরুর মালিক আবুল খায়ের মিয়া জানান, কাল রাত তিনটার দিকে তার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে সংঘবদ্ধ ৭-৮ জন গরুচোর বেড়া ভেঙ্গে গরুগুলো নিয়ে ছাদহীন লেগুনা গাড়িতে ওঠায়।

বিষয়টি টের পেয়ে একটি সিএনজি আটোরিক্সা নিয়ে লেগুনাকে ধাওয়া করলে গাড়িটি বড়াইগ্রাম উপজেলার গোপালপুর শিবপুর বিল এলাকায় ঢুকে পড়ে। কিন্তু মাত্র তিনজন থাকায় বিল এলাকায় তারা আর যাওয়ার সাহস পাননি।  

পরে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে ওই গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে নারায়নপুর স্কুল পাড়ায় তল্লাশি চালানো হয়। এসময় সংঘবদ্ধ ১০-১২ জন চোর লাঠি, রড, হাসুয়া নিয়ে শিবপুর গ্রামবাসীদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে।  

চোরদের হামলায় আহত হন নাজমুল  হোসেন (২২), কাদের শেখ (৩২), রাজ্জাক মোল্লা (৩০), জাকির সরকার (৩০) ও নবিউল শেখসহ (২৮) সাত গ্রামবাসী।  

পরবর্তীতে অন্যান্য গ্রামবাসীদের নিয়ে চোরদের ধরতে আবারো স্কুল পাড়ায় তল্লাশি চালায় হামলার শিকার গ্রামবাসী। এবার সেখান থেকে মিরাজ সরকার (৪০) নামে এক গরু চোরকে আটক করে তারা। একইসঙ্গে তিনটি গরু ও পুকুর থেকে একটি জীবিত মহিষ উদ্ধার করা হয়। মহিষটি গেল শুক্রবার (২০ এপ্রিল) উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার আমির হোসেনের বাড়ি থেকে চুরি হয়।  
 
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ধৃত চোরকে জিজ্ঞাসাবাদে তার সাথে থাকা ৮ জনের নাম প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অন্যান্য চোরদের আটক করতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।  

নাসিম/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর


 

সম্পর্কিত খবর