তুরাগ পরিবহনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হয়রানি, গ্রেপ্তার ৩

তুরাগ পরিবহনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হয়রানি, গ্রেপ্তার ৩

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

রাজধানীর চলাচলরত তুরাগ পরিবহনের একটি বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন হয়রানির চেষ্টার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন ওই বাসের চালক রোমান, বাসের ভাড়া আদায়কারী মনির ও বাসচালকের সহকারী নয়ন।

সোমবার রাতে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্বর জানান, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে রোমান, মনির ও নয়নকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোমান, মনির ও নয়নকে গ্রেপ্তারের খবর পুলিশ রাতে জানিয়েছে।

উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী অভিযোগ করেন তুরাগ পরিবহনের গাড়িচালক ও তাঁর সহকারী তাঁকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করলে কৌশলে তিনি তাঁদের খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসেন। ওই ঘটনায় ওই ছাত্রীর স্বামী রোববার বিকেলে বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলাও করেন। ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে জানানোর পরই শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামে। তারা রোববার যাত্রাবাড়ী থেকে আবদুল্লাহপুরগামী তুরাগ পরিবহনের বাসগুলো উত্তরায় পৌঁছালেই সেগুলো থামিয়ে দেন।

বাসের যাত্রীদের অন্য বাসে তুলে দিয়ে চালককে তাদের ক্যাম্পাসের কাছে বাস চালিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য করে এবং বাসের চাবি কেড়ে নেয়। সোমবার বিকেলের দিকে উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের সামনে সারি বেঁধে তুরাগ পরিবহনের বাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

চলন্ত বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে তুরাগ পরিবহনের ৩৫টি বাস আটকে রেখে প্রতিবাদ করে উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত বাস চালক ও তাঁর সহকারীকে গ্রেপ্তারে তাঁরা  মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। ব্যর্থ হলে আটকে রাখা বাসের কোনো ক্ষতির দায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা নেবে না বলে ঘোষণাও দেন তারা। তবে অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হওয়ার পরই সোমবার রাতে বাসগুলো পুলিশকে বুঝিয়ে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)