রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নে স্কুল ছাত্রীকে (১৬) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং মোবাইল ফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে রুবেল কাজী (২০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় একটি মোবাইল ফোনসেট ও দোকানে থাকা একটি ডেস্কটপ-কম্পিউটার জব্দ করেছে পুলিশ।
আটক রুবেল কাজী উপজেলার ভাতশালা গ্রামের রওশন কাজী অরফে রওশন কসাইয়ের ছেলে। ভাতশালা বাজারে তার একটি কম্পিউটারের (স্টুডিও) দোকান আছে।
পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রীকে (এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে) স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ভাতশালা বাজারের কম্পিউটার (স্টুডিও) দোকানদার রুবেল কাজী বিভিন্ন সময়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে বিভিন্ন স্থানে তাকে ধর্ষণ করে।
২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বব রাতে বাড়িতে কেউ না থাকায় ওই মেয়ের ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের একাধিক স্থিরচিত্র ও ভিডিও চিত্র তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ধারণ করে রুবেল কাজী। ওই ছাত্রীর সরলতার সুযোগ নিয়ে পরবর্তীতে সেগুলো ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখায় রুবেল।
বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়েটির বাবা গেল ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় কসবামাজাইল পুলিশ ক্যাম্পে এসআই রঞ্জন বিশ্বাসকে অবহিত করে। এসআই রঞ্জন বিশ্বাস ভাতশালা বাজারে রুবেল কাজীর কম্পিউটার (স্টুডিও) দোকানে অভিযান চালিয়ে রুবেল কাজীকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল কাজী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলে পুলিশ তার ব্যবহৃত মোবাইল স্যামফোনি ভি-৪৬সহ মোমোরিকার্ড ও তার দোকানে থাকা একটি ডেস্কটপ-কম্পিউটার জব্দ করে।
পাংশা থানার ওসি মো. মোফাজ্জেল হোসেন জানান, রুবেলকে নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর