শামসুল ইসলামের প্রতি বিএনপি নেতাদের শেষ শ্রদ্ধা

বিএনপি নেতাদের শেষ শ্রদ্ধা

শামসুল ইসলামের প্রতি বিএনপি নেতাদের শেষ শ্রদ্ধা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য এম শামসুল ইসলামের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় শামসুল ইসলামের কফিন ঢাকার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেওয়া হলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

তারা প্রথমে কফিনটি দলীয় পতাকায় ঢেকে দেন। পরে মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।

বিএনপির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও প্রয়াত এ নেতার কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির রাজনীতিতে শামসুল ইসলামের ভূমিকা এবং দলের প্রতি তার আনুগত্যের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, তার মত রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা পূরণ হওয়ার নয়।

শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানের আগে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সাবেক মন্ত্রী এম শামসুল ইসলামের জানাজা হয়।

মির্জা ফখরুল ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আমিনুল হক, আহমেদ আজম খান, কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা, জ্যেষ্ঠ নেতা মিজানুর রহমান মিনু, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, এহসানুল কবির, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরফত আলী সপু, এম এ মালেক, আবদুস সালাম আজাদ, মাহফজুর রহমান ফরহাদসহ কয়েকশ নেতা-কর্মী জানাজায়  অংশ নেন।

মুন্সীগঞ্জের সাবেক সাংসদ শামসুল ইসলামের কফিন নয়াপল্টনে আনার আগে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আরেক দফা জানাজা হয়।

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, সাবেক স্পিকার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, আবদুল মান্নান, শহীদুল হক জামাল, নাজিমউদ্দিন আলমসহ সংসদ সদস্য ও সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা সেখানে জানাজায় অংশ নেন।

পরে ডেপুটি স্পিকার ফুল দিয়ে শামসুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার মারা যান শামসুল ইসলাম। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক এই সদস্য পঞ্চম থেকে অষ্টম সংসদে মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ ছিলেন।

১৯৯১-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৬ মেয়াদে খালেদা জিয়ার সরকারের তথ্য, খাদ্য, বাণিজ্য, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

পরিবারের সদস্যরা জানান, জুমার পর মুন্সীগঞ্জ সদরের রামপাল  ইউনিয়নে গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরাস্থানে দাফন করা হবে এই রাজনীতিবিদকে।


নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)

সম্পর্কিত খবর