পাবনায় জামাইয়ের হাতে শ্বশুর খুন

প্রতীকী ছবি

পাবনায় জামাইয়ের হাতে শ্বশুর খুন

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে জামাইয়ের বেধড়ক মারপিটে শ্বশুর আব্দুস সাত্তার (৫৮) নিহত এবং শাশুড়ি সাবিয়া খাতুন আহত হয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যায় পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের সোনাহারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আবদুস সাত্তার পৌর শহরের আফ্রাতপাড়া মহল্লার মৃত শুকুর আলীর ছেলে। তিনি দ্বিতীয় বিয়ের পর দীর্ঘদিন সোনাহারপাড়া গ্রামে বসবাস করছিলেন।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের বেয়াই আব্দুল জলিল ও তার স্ত্রী সালমা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

এলাকাবাসী জানায়, তিন বছর আগে সাত্তারের মেয়ে রত্না খাতুনকে বিয়ে দেয়া হয় একই উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের লিমনের সঙ্গে। নিহত আবদুস সাত্তারের মেয়ে রত্না খাতুন এক সপ্তাহ আগে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। শুক্রবার বিকেলে রত্নাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য আসেন তার শ্বশুর আবদুল জলিল।

 

এসে দেখেন তার বৌমা রত্না খাতুন তাদের এক নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছেন। এ সময় মোবাইলে বিষয়টি ছেলে লিমনকে জানালে সে তার শ্বশুর বাড়িতে ছুটে আসে। বৌ অন্যের বাড়িতে ঘুরতে যাওয়ায় লিমন ও তার পিতা আবদুল জলিলের সাথে রত্নার বাবা আবদুস সাত্তারের কথা কাটাকাটি শুরু হয়।  

এক পর্যায়ে লিমন আবদুস সাত্তারকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। এ সময় আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী সাবিয়া খাতুন বাধা দিতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে লিমন পালিয়ে যায়।  

এলাকাবাসী আহত দু’জনকে উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুস সাত্তার। খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম জানান, থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের বেয়াই আব্দুল জলিল ও তার স্ত্রী সালমা খাতুনকে আটক করা হয়েছে।

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর