রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাচ্ছেন ৫৭ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাচ্ছেন ৫৭ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আসন্ন ৪৫তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশে। আগামী ৫ ও ৬ মে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হবে এই সম্মেলন। সম্মেলন শুরুর আগে ৪ মে ৫৭ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের মুখে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজার যাবেন।

ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ওআইসি জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এবারের বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট অন্যতম এজেন্ডা হিসেবে আলোচিত হেব।

আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশ সুযোগটিকে কাজে লাগাতে চাইছে। এরই অংশ হিসেবে ৫৭ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির দেখানোর পরিকল্পনা করেছে।

সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে ওআইসি। এই ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার দেশের অবস্থান তুলে ধরবেন।

পরে একটি রেজ্যুলেশন পাস হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এছাড়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কাছে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত বর্তমান পরিস্থিতির বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের আলাদাভাবে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হবে।

তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় এ সম্মেলন থেকেই কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদারের সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। এ সম্মেলনে ৭০টি প্রতিনিধিদল অংশ নেবে। বিদেশি অতিথির সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে যাবে। ফলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব জনমত তৈরির এটাই দারুণ সুযোগ।

এর আগে ১৯৮৩ সালে ঢাকায় প্রথম ওআইসি সম্মেলন হয়েছিল। সেই সম্মেলনের প্রায় ৩ যুগ পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারের সম্মেলন।

চলতি বছরের শুরুতে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে ওআইসির মানবাধিকার সংস্থার (আইপিএইচআরসি) ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধদল বাংলাদেশ সফর করে।

রোহিঙ্গা শিবির ঘুরে সে সময় প্রতিনিধিদলের প্রধান ড. রশিদ আল-বালুসি জানান, মিয়ানমার যাতে রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করে ফিরিয়ে নেয়, সেজন্য যথাযথ চাপ প্রয়োগ করবে ওআইসি।

উল্লেখ্য, গতবছরের আগস্টে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে। অভিযানের মুখে সেখান থেকে প্রাণ বাঁচাতে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

জাতিসংঘ ও পশ্চিমা বিশ্ব মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানকে ‘জাতিগত নিধন’ আখ্যায়িত করেছে। ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ।

সম্পর্কিত খবর