আইপিএলে টিকে রইল বিরাট কোহলির ব্যাঙ্গালুরু

আইপিএলে টিকে রইল বিরাট কোহলির ব্যাঙ্গালুরু

আইপিএলে টিকে রইল বিরাট কোহলির ব্যাঙ্গালুরু

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ব্যাটে বলে অসাধারণ খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি হার্দিক পান্ডিয়া। তার অলরাউন্ড নৈপূণ্যের পরও জয় পায়নি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ১৪ রানের জয় নিয়ে আইপিএলের লড়াইয়ে টিকে রইল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।

মুম্বাইয়ের বিপক্ষে পাওয়া জয়ে ৮ খেলায় ৬ পয়েন্ট নিয়ে লড়াইয়ে টিকে রইল কোহলিরা।

আইপিএলের শেষ চারের লড়াইয়ে খেলতে হলে নিজেদের পরের ৬ খেলার ৫টিতে জিততেই হবে কোহলিদের।

অন্যদিকে ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে হেরে যাওয়া মুম্বাইয়ের সামনে এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ। নিজেদের পরের ৬ খেলায় টানা জিততে না পারলে আইপিএল ১১তম আসরকে গুডবাই জানাতে হবে।

মঙ্গলবার আইপিএলের ৩১তম ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৬৭ রান সংগ্রহ করে ব্যাঙ্গালুরু।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৫৩ রানে গুটিয়ে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

মুম্বাইয়ের জয়ের জন্য শেষ ৪ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৪৫ রান। হার্দিক পান্ডিয়া এবং করুণ পান্ডিয়ার দিকেই তাকিয়ে ছিলেন দর্শকরা। তখনও ম্যাচের রেজাল্ট ছিল ধোয়াশায়। কি হতে যাচ্ছে হলফ করে বলা মুশফিক ছিল।

১৭তম ওভারে ব্যাঙ্গালুরুর তরুণ পেসার মোহাম্মদ সিরাজ দেন ১০ রান। পরের ওভারে মাত্র ৫ রান খরচ করেন টিম সাউদি। তাতেই ম্যাচের পট পরিবর্তন হতে থাকে। ১৯তম ওভারে সিরাজ ৫ রানে কারুন পান্ডিয়ার উইকেট তুলে নিলে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় মুম্বাই।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৩ রান। এমন কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টিম সাউদির প্রথম বলেই আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন (৪২ বলে ৫০ রান) অসাধারণ খেলে যাওয়া হার্দিক পান্ডিয়া। তার বিদায়ের পর বেন কাটিং চার ও ছয় হাঁকিয়ে ১০ রান আদায় করে নিলেও দলের পরাজয় এড়াতে পারেননি।

মুম্বাইয়ে শুরুটা অবশ্য ভালো যায়নি। ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যাওয়া দলটিকে খেলায় ফেরান জেপি ডুুমিনি এবং পান্ডিয়া।

মঙ্গলবার ব্যাঙ্গালুরুর এম চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টসে জিতে স্বাগতিকদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় মুম্বাই। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান সংগ্রহ করে ব্যাঙ্গালুরু।

তাদের শুরুটা অবশ্য খারাপ হয়নি। ৩ উইকেটে ১২১ রান করা ব্যাঙ্গালুরু এরপর ২২ রানে ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায়। যে কারণে শুরুতে ভালো অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও শেষের বিপর্যয়ের কারণে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন ওপেনার মেনন বোহরা। ৩৭ রান করেন ব্রান্ডন ম্যাককলাম। ৩৩রান আসে বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে।  

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)

সম্পর্কিত খবর