সুন্দরবনে ডুবন্ত জাহাজের কয়লা যাবে যশোরে

সুন্দরবনে ডুবন্ত জাহাজের কয়লা যাবে যশোরে

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

কালবৈশাখী ঝড়ের ধকল কাটিয়ে আবারো সুন্দরবনে ডুবন্ত জাহাজ থেকে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু হয়েছে। আজ দুপুর পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা কাজ করেছেন উদ্ধারকারীরা। এরপর প্রবল স্রোতের কারণে কাজ আবার বন্ধ হয়ে যায়।

কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সাহারা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক (অপারেশন্স) লালন হওলাদার জানান, নদী থেকে উত্তোলিত কয়লা রাখার ৪০০ টনের একটি বাল্কহেড বুধবার পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।

এটিকে আমাদের শাখা অফিস যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হবে। আরেকটি বাল্কহেড আনা হচ্ছে বাকি কয়লা রাখার জন্য। আশা করা যায়, দুই-এক দিনের মধ্যে ডুবন্ত জাহাজ থেকে কয়লা উত্তোলন শেষ হবে।

কী পরিমাণ কয়লা উত্তোলন হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে লালন বলেন, যেহেতু মোটরের সাহয্যে পাইপ দিয়ে ডুবন্ত জাহাজ থেকে কয়লা তুলে বাল্কহেডে রাখা হয়েছে, সেহেতু উত্তোলিত কয়লায় পানি ও সামান্য বালুর মিশ্রণ রয়েছে।

তাই এখনই সঠিক পরিমাপ বলা যাচ্ছে না।

তবে অধিকাংশ কয়লা উত্তোলিত হয়ে গেছে বলে দাবি লালনের।

news24bd.tv

তিনি বলেন, কয়লা উত্তোলন শেষে প্রথমে ডুবুরিরা ভাটার সময় ডুবে থাকা কার্গো জাহাজটির তলদেশের দুই পাশ থেকে ওয়্যার টেনে দিবে। এরপর জোয়ার শুরু হলে দু’পাশে টাগবোট দিয়ে ডুবন্ত জাহাজটিকে কিনারে টেনে নিয়ে আসবে। আর এভাবে সম্ভব না হলে জাহাজটিকে কেটে তোলা হবে।

গেল সোমবার কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় সুন্দরবনের হারবারিয়া এলাকায় ডুবন্ত জাহাজ থেকে কয়লা উত্তোলন কাজ। এ সময় উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত ৩টি জলযান ভেঙে যায় এবং ডুবুরিদের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিও নদীতে পড়ে যায়।

এদিকে, হারবাড়িয়ায় কয়লাসহ কার্গোডুবির ঘটনায় গত ১৯ এপ্রিল বিভাগীয় কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রাথমিক একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি।

তবে সেই প্রতিবেদনে সুন্দরবন ও এর আশপাশের পরিবেশ ও সুন্দরবনের জীববৈচিত্রের ওপর এর প্রভাব নিয়ে কিছু বলা হয়নি।

কার্গো উদ্ধার হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শাহিন কবির।

উল্লেখ্য, গেল ১৪ এপ্রিল মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে প্রায় ৬০ নটিক্যাল মাইল দূরে হারবাড়িয়া এলাকায় ৭৭৫ টন কয়লা নিয়ে এমভি বিলাস নামে একটি লাইটার জাহাজ ডুবে যায়।

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর