তিনদিন বিদ্যুৎহীন কুমিল্লার ৩০ গ্রাম

তিনদিন বিদ্যুৎহীন কুমিল্লার ৩০ গ্রাম

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

কুমিল্লার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীর ছোবলের ধকল তিনদিনেও কাটিয়ে উঠতে পারেনি জেলার বিদ্যুৎ বিভাগ। আর এ ব্যর্থতার মাশুল দিতে হচ্ছে তিনটি উপজেলার ৩০টিরও অধিক গ্রামের মানুষকে।  

গেল সোমবার থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিদুৎবিহীন বুড়িচং, মুরাদনগর ও তিতাস উপজেলার কয়েক হাজার পরিবার। বিদ্যুৎ না থাকায় নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি এসব এলাকায় জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়।

বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ভোগান্তি ভয়াবহরূপ ধারণ করেছে বুড়িংয়ে। এ উপজেলার ২৫টি গ্রাম গেল রোববার রাত থেকেই রয়েছে অন্ধকারে।

এসব উপজেলায় বসবাসকারী কয়েক হাজার মানুষের চরম ভোগান্তিতেও মাথা ব্যথা নেই বিদ্যুৎ বিভাগের। ঢিলেঢালাভাবে চলছে তাদের মেরামত কাজ।

অভিযোগ রয়েছে বিদ্যুৎ অফিসে অসংখ্যবার ফোন করলেও কেউ রিসিভ করেন না। অথবা ‘ফোন যন্ত্রণায়’ অতিষ্ঠ অফিসের ‘কর্তাবাবুরা’ রিসিভার উল্টিয়ে রাখেন ‘যন্ত্রণা-মুক্তির’ আশায়।

news24bd.tv

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর জিএম মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে যাওয়া এবং কিছু এলাকায় তার ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। খুঁটি মেরামত ও ছিঁড়ে যাওয়া তার জোড়া লাগিয়ে বিদ্যুৎ যোগাযোগ অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা কাজ করছে। ’ অচিরেই এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বলে আশাবাদী তিনি।

অপরদিকে কয়েকবার চেষ্টা করেও ফোনে নাগাল পাওয়া যায়নি কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ২ এর জিএম মাজহারুল ইসলামের। তবে ইতোমধ্যে অন্য যারা তার সাথে যোগাযোগ করতে পেরেছেন; তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়- আশার আলো দেখাতে পারেননি বিদ্যুৎ বিভাগের এ কর্মকর্তা।

গেল সোমবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত তিন দফায় জেলার দাউদকান্দি, তিতাস, বুড়িচং ও দেবীদ্বার উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রচণ্ড কালবৈশাখী ঝড়ে সব কিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এতে গাছপালা, ঘরবাড়ি, বৈদুতিক খুঁটি এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কালবৈশাখীর এ ছোবল ভয়ানক রূপে দেখা দিয়েছিলো বুড়িচং উপজেলায়। ঝড়ে উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর