গাছের ডালে ঝুলন্ত লাশটি কার?

গাছের ডালে ঝুলন্ত লাশটি কার?

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘অ্যাই, দড়িটা আস্তে আস্তে ছাড়। কোমরে দড়িটা ঠিক মতো বাঁধছিলি? না হলে কিন্তু ভারি দেহটা ধপাস কইরা মাটিতে পড়ব। ’ -কথাগুলো বলছিলেন শাহবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) শফিকুল ইসলাম।  

আজ সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ নামানোর সময় ঠিক এভাবেই নির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছের ডালে লুঙ্গি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন আনুমানিক ২৫-২৬ বছরের এক যুবক। খবর পেয়ে শাহবাগ থানা থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসেছেন মরদেহ উদ্ধারে।

মরদেহ নেয়ার জন্য আগে থেকেই উদ্যানে অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়। পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুসারে গাছের ওপর থেকে ধীরে ধীরে মরদেহটি দড়ির সাহায্যে নামিয়ে স্ট্রেচারে রাখা হয়।

আশেপাশে উৎসুক মানুষের জটলা। কেউ প্রাতঃভ্রমণে এসেছেন, কেউ গাছে মরদেহ ঝুলে রয়েছে এমন সংবাদে ছুটে এসেছেন। পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত লোকজনের কাছে যুবককে কেউ চিনেন কি না জানতে চাইলে সকলেই ‘না’ সূচক জবাব দেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রতিদিন প্রাতঃভ্রমণে আসা বাবলু জানান, এ পার্কে যারা নিয়মিত অাসেন, তাদের সকলকেই তিনি চিনেন। কিন্তু এ যুবককে কখনও দেখেননি।

আলমাস নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘ঝুলন্ত অবস্থায় থাকলেও যুবকের জিহ্বা বের হওয়া, চোখ বড় বড় হওয়া কিংবা লালা পড়তে দেখা যায়নি। যুবক আত্মহত্যা করেছে নাকি কেউ তাকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে -তা তদন্ত করা প্রয়োজন। ’

শাহবাগ থানার এসআই শফিকুল ইসলাম জানান, ভোর ৬টায় খবর পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের কবরের বিপরীত দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক যুবকের মরদেহ ঝুলে আছে। খবর পেয়ে এসে লাশ নামানো হয়েছে। উদ্যানের লোকরা তাকে চিনেন না। লাশ ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, যুবকের হাতের ছাপ নিয়ে ডিএমপির এমআইএস শাখার মাধ্যমে আগারগাঁওয়ে জাতীয় ভোটার পরিচয়পত্র দেখে শনাক্তের প্রচেষ্টা করা হবে। হত্যা না আত্মহত্যা সে সম্পর্কে এখনও কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না।

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর