ছেলেকে বাঁচাতে বাবার আকুতি

দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শিশু শফিউজ্জামান মাহিব

ছেলেকে বাঁচাতে বাবার আকুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিশুটিকে দেখলেই যেন আদর করতে ইচ্ছে করে। কিন্তু বিনা চিকিৎসায় শিশুটি আর কত দিনইবা বেঁচে থাকবে তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন।  

ফুটফুটে এই শিশুটির নাম মোহাম্মদ শফিউজ্জামান মাহিব। শিশুটি জম্মের পর থেকে ‌‘বিলিয়ারি এট্রেসিয়া’ নামক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত।

এই অসুখের প্রভাবে ধীরে ধীরে শিশুটির লিভার অকেজো হয়ে যাচ্ছে। আড়াই বছর বয়সের এই শিশুটিকে বাঁচাতে সরকার এবং সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন এক গরিব পিতা-মাতা।

শিশুটির বাবার নাম মোহাম্মদ বদিউজ্জামান বাবুল। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পুরাতন মানিকদাহ গ্রামে তাদের বাড়ি।

গার্মেন্টসে চাকরির কারণে ঢাকার আশুলিয়া এলাকার ঘোষবাগে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকেন তারা।

ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালের লিভার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মামুন আল মাহাতাব ও ভারতের কলকাতার ফোরটিস্ হাসপাতালের লিভার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এটা শিশুটির জম্মগত ত্রুটি জনিত রোগ। এই রোগের চিকিৎসা হলো মাহিবের শরীরে নতুন করে লিভার প্রতিস্থাপন করা। লিভার প্রতিস্থাপন করতে পারলে সে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে। এর জন্য শিশুটিকে ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করাতে প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ হবে।

মাহিবের পিতা একজন গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন। ছেলের চিকিৎসার কারণে তাকে চাকরিটিও হারাতে হয়েছে। বর্তমানে তিনি বেকার। বিগত আড়াই বছর দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ভারতের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করিয়েছেন। ইতোমধ্যে নিজের গচ্ছিত ও ধার-দেনা এবং জমি বিক্রি করে শুধুমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে ও ছেলের মুখের হাসি দেখতে একজন সামান্য গার্মেন্টস কর্মী পিতা সর্বস্ব খুইয়ে ৪২ লাখ টাকা চিকিৎসার পেছনে ব্যয় করেছেন। এখন ছেলের চিকিৎসা করাতে তার কাছে আর কোনো অর্থ নেই। তাই তিনি সরকার ও দেশের বিত্তবানদের কাছে হাত বাড়িয়েছেন।

বদিউজ্জামান বাবুল বলেন, আজ আমি সহায় সম্বলহীন এক পিতা। যা কিছু ছিল সব ছেলের চিকিৎসায় ব্যয় করেছি। ছেলের জীবন ভিক্ষায় আপনাদের শরণাপন্ন হয়েছি। দয়া করে একজন অসহায় পিতার আর্জি শুনুন। মানবিক দিক চিন্তা করে আমার বুকের ধনকে ফিরিয়ে দিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবেন এই কামনা করছি। আপনাদের সকলের অল্প অল্প সহযোগিতায় আমি হয়তো আমার সন্তানের সুচিকিৎসা করাতে পারবো। সুস্থ করে তুলতে পারবো আমার বুকের মানিককে।

সাহায্য পাঠানোর জন্য বিকাশ নম্বর-০১৭৭৪০৯৬১৪৫ (বাবুল), ০১৯১৮১৫১০৭৯ (হাবিবা) অথবা মোহাম্মদ বদিউজ্জামান, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, মিরপুর শাখা, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর- ০০১২২০০০৪৫৯৬৭

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর