অবশেষে ধর্ষিতার মামলা গ্রহণ

প্রতীকী ছবি

অবশেষে ধর্ষিতার মামলা গ্রহণ

মাদারীপুর প্রতিনিধি

‘ধর্ষণের শিকার তরুণীকে সালিশে এলাকাছাড়া’ শিরোনামে বৃহস্পতিবার সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে ওই দিন বিকেলে মাদারীপুর সদর থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে।

ঘটনার তিন দিন পালিয়ে থাকার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে গোপনে মাদারীপুর সদর থানায় উপস্থিত হয়ে ধর্ষক রাসেল খলিফাকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে ওই ধর্ষিতা। পুলিশ তাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এদিকে প্রভাবশালীদের ভয়ে আবার অজ্ঞাত স্থানে থাকবে বলে ধর্ষিতা জানিয়েছে।

এলাকাবাসী ওই মেয়ের পারিবারিক জানায়, সোমবার রাতে এক পান দোকানীর মেয়েকে (২২) বাড়ি ফাঁকা পেয়ে জোর করে ধর্ষণ করে একই গ্রামের জৈনদ্দিন খলিফার ছেলে রাসেল খলিফা (২৮)।

ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার সকালে ওই নির্যাতিতা নারী তার মায়ের সঙ্গে থানায় মামলা করতে যায়। মাঝপথ থেকেই এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল এসে ওই যুবতী ও তার পরিবারকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোর করে এলাকায় নিয়ে যায়।

পরে ওই দিন দুপুরে তড়িঘড়ি করে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বাড়িতে সালিস বৈঠক বসে।

সেখানে ধর্ষণকারী রাসেল খলিফাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রভাবশালী সালিশদাররা জরিমানার টাকা দিয়ে ওই যুবতীকে পরিবারসহ কিছুদিন এলাকা ছেড়ে অন্যত্র থাকার নির্দেশ দেয়। এই ঘটনার পর থেকে নির্যাতিতা নারী ও তার পরিবার অজ্ঞাত স্থানে থাকতে বাধ্য হয়।

তিন দিন পালিয়ে থাকার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে গোপনে মাদারীপুর সদর থানায় উপস্থিত হয়ে রাসেল খলিফাকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে ধর্ষিতা। এই ধরণের একটি স্পর্শকাতর ঘটনা সালিশে মীমাংসা করায় এলাকার মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

ধর্ষিতা ওই নারী বলেছে, রাসেল আমাকে ধর্ষণ করেছে। আমি বৃহস্পতিবার বিকেলে গোপনে মাদারীপুর সদর থানায় উপস্থিত হয়ে রাসেল খলিফার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছি। আমি ওর (রাসেল খলিফার) দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। তাছাড়া এলাকায় প্রভাবশালীদের ভয়ে বাড়িতেও যেতে পারছি না।

মাদারীপুর সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোহাম্মদ আবু নাইম মামলা দায়েরের কথা নিশ্চিত করে বলেন, নির্যাতিতা থানায় উপস্থিত হয়ে রাসেল খলিফা নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/বেলাল/তৌহিদ)
       

   

সম্পর্কিত খবর