ঝড় বৃষ্টির কারণে ঝিনাইদহ কৃষকের ধান মাঠে ভাসছে

ঝড় বৃষ্টির কারণে ঝিনাইদহ কৃষকের ধান মাঠে ভাসছে

ঝড় বৃষ্টির কারণে ঝিনাইদহ কৃষকের ধান মাঠে ভাসছে

শেখ রুহুল আমিন,ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলার গ্রামাঞ্চালের মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার মহা উৎসব। কৃষকদের ভাষ্য, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হলেও বাধ সেধেছে বৃষ্টি। প্রায় প্রতিদিনই ঝড় বৃষ্টির কবলে বাম্পার ফলনের আশা ফিকে হয়ে আসছে। ইতিমধ্যে অনেক গ্রামের মাঠে মাঠে পাকা ধান কেটে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।

ঝড় ও বৃষ্টির পানিতে মাঠে কেটে রাখা ধান তলিয়ে ও মাটিতে শুয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় ধান ঘরে তুলতে না পারলে মহাবিপাকে পড়বেন কৃষকেরা। এদিকে আবার ধান কাটা শ্রমিক নিয়ে মরার উপর খাড়ার ঘা দেখা দিয়েছে। অনেক গ্রামেই শ্রমিক সংকট থাকায় বর্তমান প্রতি শ্রমিককে দিনমজুরী ৩ শত টাকার বদলে ৬ থেকে ৭ শত টাকা করে দিতে হচ্ছে।

এছাড়াও মাঠে মাঠে পানি জমে যাওয়ায় ধান বাড়িতে তুলতে পাওয়ার টিলারের বদলে গরু ও ঘোড়ার গাড়িরও কদর বেড়ে গেছে। তারাও সুযোগ মত ডাবল টাকা খরচা আদায় করে নিচ্ছে। সব মিলিয়ে ঝড় বৃষ্টির কবলে এবার কৃষকের বাম্পার ফলন সোনালী ধান ঘরে তোলার স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছে।

বৃষ্টি ঝড়ের কবলে পতিত বিভিন্ন মাঠের কৃষকদের সাথে কথা বললে সুখলাল ও বাবুল হোসেন নামে দু’কৃষক জানান, এখন ধান কাটার পুরো মৌসুম। কিন্তু প্রতিদিনই ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। গত কয়েক দিনের পানিতে তাদের মাঠের কাটা ধানে পানি জমে গেছে। এতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জিএম আব্দুর রউফ জানান, চলতি মৌসুমে এ জেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮৩ হাজার ১’শ ৫৫ হেক্টোর। কিন্ত চাষ হয়েছে ৯৩হাজার ৯’শ ৫০ হেক্টোর জমিতে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও এবার বেশি জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এ বছর কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীরা বোরো মৌসুম শুরু থেকে বাড়তি নজর রাখার কারণেই অন্য বছরের তুলনায় এবছর ভাল ফলন হয়েছে। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। কৃষকেরা যদি বুদ্ধিমত্তা অবলম্বন করতো। কমবাইন্ড হারভেস্টার মেশিনে মাড়াই করতো তাহলে এই ক্ষতির সম্মুখে পড়তে হতো না।

 

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)

সম্পর্কিত খবর