শেষ মুহূর্তে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায়

শেষ মুহূর্তে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায়

শেষ মুহূর্তে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায়

রিপন হোসেন, যশোর

কদিন সময় পেলেই যশোরের কৃষকরা নির্বিঘ্নে তাদের ফসল ঘরে তুলতে পারতেন। কিন্ত ঝড়-বৃষ্টি তাদের কপালের চিন্তার ভাজ ফেলছে। সব চিন্তা যেনো ক্ষেতের পাকা ধান নিয়ে। ভালো ফলন পেয়ে খুশির ঝিলিক ফুটে উঠছিলো চাষিদের চোখে-মুখে।

কিন্তু গত কয়েকদিন ভারি বৃষ্টি এবং কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে সে আশা কিছুটা  ম্লান হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি আর ঝড়ের কারণে ক্ষেতের পর ক্ষেত  ধান নষ্ট হচ্ছে। সেইসঙ্গে শ্রমিক সংকট চিন্তার বড় কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে কৃষকের। ফলে শেষ মুহূর্তে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায় যশোরের চাষিরা।

যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, জেলায় এ বছর বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ধান আবাদ হয়েছে। জেলার আট উপজেলায় বোরো আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে। যা গতবারের চেয়ে বেশি।

কৃষকরা বলছেন, এবার প্রথম থেকেই আবহাওয়া অনেকটাই অনুকূলে ছিলো। ফলনও ভালো হয়েছে। বলা চলে বাম্পার ফলন। তবে ধানের শীষ বের হওয়ার সময় দুই দফা শিলা বৃষ্টির কবলে পড়ে কিছু এলাকার বোরো আবাদের ক্ষতি হয়। কোথাও কোথাও দেখা দেয় নেকব্লাস্ট রোগ। তবে বাকি ক্ষেতের ফসল ভালো থাকায় ক্ষতি কাটিয়ে সেই ফসল ঘরে তুলতে শুরু করেছেন চাষিরা। কিন্তু গত কয়েকদিন যশোরসহ দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েকদফা কালবৈশাখী ঝড়ে নুয়ে পড়েছে ধান। সঙ্গে গত দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেতের ধান। অন্যদিকে ধান ঘরে তোলার জন্য শ্রমিক না পাওয়ায় মারাত্মক সমস্যায় তারা। এতে ঋণ নিয়ে ধান চাষ করে বিপাকে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে জেলার কেশবপুর, মনিরামপুর, বাঘারপাড়া ও চৌগাছা উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠের ধান নষ্ট হচ্ছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। যশোরের বিল জ্বলেশ্বরের মাঠজুড়ে ধান কেটে ফেলে রেখেছে কৃষক। এসব ধান ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষক।

অন্যদিকে শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক এলাকার জমির ধান কাটতে পারছেন না কৃষকরা। জেলার সদর উপজেলার ইছালী গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, ৫ বিঘা জমির ধান কেটে শুকানোর জন্য বিছিয়ে রাখা হয়েছে। বুধবারের ভারি বৃষ্টির কারনে ক্ষেতে পানি জমে গেছে। দু’একদিনের মধ্যে আরও বৃষ্টি হলে ওই ধান ঘরে তোলা সম্ভব হবে না।
 

 

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)

সম্পর্কিত খবর