বড় ভাই আমিনুর রহমান খান বাপ্পি হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন কারাগারে আটক আওয়ামী লীগদলীয় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের এমপি আমানুর রহমান খান রানা।
সোমবার টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনছুর মিয়ার আদালতে তার সাক্ষ্য ও জেরা গ্রহণ করা হয়।
এমপি রানা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণের পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এই মামলায় সাক্ষী দেয়ার জন্য এমপি রানাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে টাঙ্গাইল আদালতে আনা হয়। বেলা সোয়া ১১টায় আদালতে আনার পর সাড়ে ১১টায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
প্রায় ২৫ মিনিট সাক্ষ্য দেয়ার পর আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল কাশেম ও রফিকুল ইসলাম তাকে প্রায় দুই ঘণ্টা জেরা করেন। পরে আদালত মুলতবি করে জেরার জন্য পরবর্তী তারিখ আগামী ২৬ জুন ধার্য করেন বিচারক।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় রানার বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর রহমান খান বাপ্পি সন্ত্রাসী হামলায় তাদের নিজ বাসার কাছে নিহত হন। এ সময় বাপ্পির বন্ধু আবদুল মতিনও ওই সন্ত্রাসী হামলায় মারা যান। ঘটনার পর রানার বাবা আতাউর রহমান খান বাদী হয়ে টাঙ্গাইল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর দুই ভাই মুরাদ সিদ্দিকী ও আজাদ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, জেলা বিএনপির নেতা আলী ইমাম তপন, পৌর কমিশনার রুমি চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা আব্দুর রৌফসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম ২০০৭ সালে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
এই মামলার আসামি রুমি চৌধুরী ও আব্দুর রৌফ ২০০৪ সালের অক্টোবরে সশস্ত্র হামলায় নিহত হন। এই দুজনের হত্যা মামলায় এমপি রানা ও তার ভাইদের আসামি করে মামলা করা হয়।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)
