অভিনব কায়দায় চুরি, উদ্বিগ্ন মোংলাবাসী

প্রতীকী ছবি

অভিনব কায়দায় চুরি, উদ্বিগ্ন মোংলাবাসী

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

সম্প্রতি স্থায়ী মোংলা বন্দর আবাসিক এলাকায় দু’টি চুরির ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে স্থানীয়দের। ছোট্ট করে জানালার গ্রিল কেটে চোরের দল লুটে নিয়েছে টাকা-পয়সা সোনা-দানাসহ দামী মালামাল।  

গেল সপ্তাহে বন্দরের দুই কর্মকর্তা-কর্মচারীর বাড়িতে এ ধরনের চুরির ঘটনা ঘটেছে। যে ঘটনাগুলির সাথে গেল বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত পুরাতন মোংলা বন্দর এলাকায় ঘটে যাওয়া সিরিয়াল চুরির ঘটনার হুবাহু মিল রয়েছে।

প্রসঙ্গত, মোংলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে মোংলা নদী। নদীর এক পাশকে বলা হয় পুরাতন মোংলা বন্দর এলাকা, অপর পাশকে বলা হয় স্থায়ী মোংলা বন্দর এলাকা। ২০১৭ সালের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পুরাতন মোংলা বন্দর এলাকায় গ্রিল কেটে সংঘবদ্ধ চুরির ঘটনা ঘটতো প্রায় প্রতিরাতেই। তবে বেশ কিছু দিন ধরে এ ধরনের চুরি বন্ধ ছিল।

কিস্তু সম্প্রতি স্থায়ী মোংলা বন্দর আবাসিক এলাকায় একই কায়দায় দু’টি চুরির ঘটনায় উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী। সকলের মুখে প্রশ্ন, সেই সংঘবদ্ধ চোরের দলই কি মোংলা নদীর ওপার তথা স্থায়ী মোংলা বন্দর আবাসিক এলাকা টার্গেট করেছে?

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার বিভাগের পাইলট মো. হুমায়ন কবির। স্থায়ী মোংলা বন্দর আবাসিক এলাকার মাধবী পোর্ট কলোনীর ই-থ্রি এর ২ নং প্লটে সপরিবারে তার বসবাস। গেল সপ্তাহে ছুটি নিয়ে পরিবারের সকলে মিলে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। সোমবার (৭ মে) ফিরে এসে দেখেন, তার জানালার গ্রিল ছোট্ট করে কেটে তার একটি ল্যাপটপ ও আলমারির ড্রয়ারে থাকা ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ বেশ কিছু মূল্যবান মালামাল কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে।

এর আগে একই কলোনীর বাসিন্দা বন্দরের হারবার বিভাগের লস্কর মো. সালামের ঘরের জানালার গ্রিল কেটে নগদ ১২ হাজার টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় চোরেরা।

চুরির ব্যাপারে জানতে চাইলে বন্দর কর্তৃপক্ষের মেম্বর (অপারেশন) ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আব্দুল বাতেন মিয়া বলেন, চুরির ঘটনার পর কলোনির নিরাপত্তা জোরদারসহ প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে, বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক কলোনিতে গ্রিল কেটে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় সকলের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেউ কেউ বলছেন, গত বছর পুরাতন মোংলা বন্দর এলাকায় যে সংঘবদ্ধ চোরের দল গ্রিল কেটে সিরিয়াল চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে তারাই আবার সংঘবদ্ধ হয়ে নদীর এপার (স্থায়ী মোংলা বন্দর আবাসিক এলাকায়) চুরি শুরু করেছে।

জানতে চাইলে কলোনির বাসিন্দা (মোংলা বন্দর আবাসিক এলাকার মাধবী পোর্ট কলোনি) ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আব্দুর রাজ্জাক  বলেন, গত বছরের পুরাতন মোংলায় ঘটে যাওয়া সিরিয়াল চুরির আলামতের সাথে এ চুরির মিল রয়েছে। এটা আমাদের মাঝে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

এ ব্যাপারে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, চুরির ঘটনা তার জানা নেই এবং কেউ তাকে জানায়নি। তারপরও এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর