দেশ আমাদের, সরকার ওদের: খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

দেশ আমাদের, সরকার ওদের: খসরু

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

আওয়ামী লীগকে বিদায় করে দেশের রাজনীতি কী হবে সেটা পরিষ্কার করার দরকার আছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, এখন দেশে যে রাজনীতি চলছে, সেখানে জনগণের সেবার কথা বলা যাবে না। এখনকার রাজনীতি হচ্ছে লুটপাট করতে হবে, এর বাইরে কোনো রাজনীতি নাই। এই রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসতে হলে কঠিন সংগ্রাম করতে হবে।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাব এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় স্মরণ মঞ্চ নামের বিএনপিপন্থী একটি সংগঠন।

ভিশন-২০৩০-এর কথা তুলে ধরে আমীর খসরু বলেন, বিএনপির ভিশন-২০৩০ জাতির সামনে গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়া উপস্থাপন করেছে। পরিপূর্ণভাবে আস্থার জায়গা থেকে এই ভিশন তৈরি করেছেন তিনি।

একটি কল্যাণকর রাষ্ট্রের জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন মডেল রাষ্ট্র থেকে এটা নেয়া হয়েছে।

 ৪ কোটির মতো শিক্ষিত বেকার, তারা চাকরি পাচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিতে হবে, এটা করা গেলে মানুষের জীবন মান বেড়ে যাবে। বিনামূল্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা করলে মানবসম্পদের উন্নয়ন সহজে করা সম্ভব হবে। গত দশ বছরে মানুষের জীবনযাত্রার মান ৯ শতাংশ কমেছে। শিক্ষার মান নিচে নামানো হয়েছে, সেখানে মানবসম্পদ তৈরির কোন সুযোগ নেই।

সরকারের কঠিন সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, আন্দোলন এবং নির্বাচনের কাজ একসঙ্গে চলবে। আমরা কি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন করতে পারছি? সেই জায়গা নেই। ডিবি টি-শার্ট, জিন্স পরে ঘুরে বেরাচ্ছে। তাদের হাব ভাব দেখে মনে হয়, কোনো শত্রু দেশে আসছি। মনে হয় দেশ দখল হয়ে গেছে, তারা আমাদের ওপর নজর রাখছে।

দেশ আমাদের, সরকার ওদের দাবি করে খসরু বলেন, কিছু বললেই গুম খুন করবে, ধরে নিয়ে নির্যাতন করে পঙ্গু করে দেবে। দেশের এই হচ্ছে অবস্থা। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের জায়গা কোথায়? তাদের নীল নকশায় বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য কোনো জায়গা নেই।

দেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই দাবি করে তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি এবং ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাচন বন্ধ হলো। খুলনায় আছে, তবে নির্বাচন হবে কি-না সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। সেখানে দলীয় গৃহপালিত লোক দিয়ে বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি করা হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ বে-আইনি, অবৈধ। নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। তাদের ওপর আস্থা নেই, এই অবস্থায় নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, সেটা কেউ বিশ্বাস করে না।

খুলনার নির্বাচন সম্পর্কে খসরু অভিযোগ করে বলেন, খুলনায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিএনপির কর্মীদের তল্লাশি করছে, মোবাইল নম্বরে তাদের খুঁজছে। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হলে, গণতন্ত্রের কোনো স্পেস নেই। এটা তাদের নীল নকশার অংশ।

জাতীয় স্মরণ মঞ্চের সভাপতি মনিরুজ্জামান দেওয়ান মানিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন কবি আব্দুল হাই শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল প্রমুখ।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর