এক মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

এক মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

মাদারীপুর প্রতিনিধি

এক মাস ছয় দিন পর পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য রানা মৃধা নামের এক যুবকের লাশ করব থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। রোববার দুপুরে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের কোদালিয়া গ্রামের পারিবারিক কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহারিয়া রহমান ও রাজৈর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইমতিয়াজ আহম্মেদ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ এপ্রিল রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে রানা মৃধা (২৮) নামের এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়।

মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

৮ এপ্রিল রানার মা হেনা বেগম বাদি হয়ে রানার শ্বশুর জাহাঙ্গীর খোন্দকারকে প্রধান আসামী করে ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

রানা আত্মহত্যা করেছে উল্লেখ করে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আদালতে জমা দেওয়া হয়।  
মামলার বাদি আদালতে নারাজি আবেদন করে রানার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুনঃময়নাতদন্তের জন্য আবেদন জানান।

আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩০ এপ্রিল মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাঈদুর রহমান পুনঃময়নাতদন্তের জন্য রানার লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন।

রাজৈর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় রানার মা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার পরে আমরা দুইজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছি। বাকি আসামীরা পলাতক রয়েছে। রানার ময়নাতদন্ত হয়। কিন্তু বাদি তাতে নারাজি দেয় এবং আদালতের কাছে পূনরায় লাশের ময়নাতদন্তের আবেদন জানায়। পরে আদালতের নির্দেশে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।

মাদারীপুর জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহারিয়া রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর আমরা লাশটি উত্তোলন করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। সেখানে লাশের পুনঃময়নাতদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার কথা রয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/বেলাল/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর