খুলনার নগর পিতা আ.লীগের খালেক

খুলনার নগর পিতা আ.লীগের খালেক

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

খুলনা সিটি করপোরেশনের নগর পিতা হলেন আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯০২ ভোট পেয়ে  বেসরকারিভাবে জয় লাভ করেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর এই বিজয় ঘোষণা করা হয়নি। রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস থেকে কেন্দ্রভিত্তিক ভোটের প্রাপ্ত ফলাফল থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

খুলনায় মোট ভোটকেন্দ্র ২৮৯টি। এর মধ্যে অনিয়মের কারণে তিনটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। ফলে ২৮৬টি কেন্দ্রের ফলাফলই পাওয়া গেছে। সেই ফল অনুযায়ী, নৌকা প্রতীক পেয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯০২ ভোট।

আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৯৫৬ ভোট। অর্থাৎ নৌকা প্রতীক নিয়ে খালেক ৬৭ হাজার ৯৪৬ ভোট পেয়েছেন।

তা ছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত ফলাফল থেকে দেখা যাচ্ছে, নৌকা প্রতীক নিয়ে তালুকদার আবদুল খালেক ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সঙ্গে ভোটের ব্যবধান বাড়িয়ে চলছেন। এই সময়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ১২৯টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেছেন। এতে নৌকা প্রতীক পেয়েছে ৭২ হাজার ৯৫০ ভোট। আর ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছে ৪৫ হাজার ৪২০ ভোট।

বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া ভোটের তথ্যের আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত ফলই চূড়ান্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তাই বিজয়ী প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। এরপর ফল পাঠিয়ে দেন নির্বাচন কমিশনে। সেখান থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী যতক্ষণ রিটার্নিং কর্মকর্তা সব কেন্দ্রের ভোটের ফল ঘোষণা করে তালুকদার আবদুল খালেককে বিজয়ী ঘোষণা না করেন, ততক্ষণ তাঁকে বিজয়ী বলা যায় না।

খুলনা সিটি নির্বাচনে মোট পাঁচজন মেয়র প্রার্থী নির্বাচন করছেন।

৪৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ নগরীতে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৮৯টি ও ভোটকক্ষ এক হাজার ৫৬১টি। এরমধ্যে দুই কেন্দ্র ইভিএম ভোট হয়। একটি খুলনার সোনা পোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যার ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৯৯। অপরটি পিটিআইর জসিমউদদীন হোস্টেল, যার ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৮৭৯।

খুলনা সিটি নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন, যার মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।

ভোট কেন্দ্র ও নির্বাচনী এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন নিশ্চিতকরণে ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।

নির্বাচনে সাড়ে ৯ হাজার পুলিশ, বিজিবি, এপি ব্যাটালিয়ন ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছে। এর মধ্যে পুলিশের পাশাপাশি ১৬ প্লাটুন বিজিবি, সাড়ে ৪ হাজার আনসার-ভিডিপি সদস্য, ৯শ’ অঙ্গীভূত আনসার-ভিডিপি সদস্য, নির্বাচনের ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) কেন্দ্রে ২৪ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেছে। এছাড়া পুলিশের ৭০টি টিম দায়িত্ব পালন করেছে।  
প্রত্যেক ম্যাজিস্ট্রেটের টিমের সঙ্গে একটি করে পুলিশের টিম থাকছে। ৮টি মোটরসাইকেল টিম এবং ১১টি পিকেট টিম দায়িত্ব পালন করেছে।  

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর