১৩ দফা দাবিতে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির শ্রমিক ও ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী টানা পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলন অব্যাহত হয়েছে।
একদিকে শ্রমিকরা তাদের কাজে যোগ না দিয়ে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
আজ (১৭ মে) দুপুরে কয়লা খনি মিলনায়তনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে খনি কর্তৃপক্ষ এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় সাংবাদিকদের উদ্যেশ্যে বড়পুকুরিয়ার কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহম্মদ বলেন, কিছু মুষ্টিময় শ্রমিক বহিরাগতদের সাথে নিয়ে এই আন্দোলন করছে। বেশিরভাগ শ্রমিক কাজে যোগ দিতে আগ্রহী। একটি সুষ্ঠু আলোচনার মাধ্যমে এটা সমাধান করা সম্ভব।
তিনি আরো বলেন, গত ৫দিন ধরে খনিতে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
এদিকে শ্রমিক নেতারা জানায়, ১৩ দফা দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী অব্যাহত রাখবে। তারা ১৫ মের ঘটনায় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে। শ্রমিকদের দাবি, ওইদিন কর্মকর্তারা তাদের গায়ে গায়ে হাত তুলেছেন।
উল্লেখ্য, গেল ২৬ এপ্রিল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর শ্রমিকরা তাদের ১৩ দফা দাবির লিখিত বিবরণী প্রদান করে। তারা ১২ মে পর্যন্ত দাবি মানার সময়সীমা বেঁধে দেয়। কিন্তু আল্টিমেটাম শেষ হলেও কর্তৃপক্ষের সাড়া না পেয়ে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ১৩ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যায় শ্রমিকরা।
দেশের বৃহত্তম কয়লা খনি বড়পুকুরিয়ার শ্রমিকদের ১৩ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:
♻ সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটিতে কাজ করলে প্রাপ্য মুজুরি প্রদান
♻ কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে একই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মচারী নিয়োগসহ আউট সোর্সিং শ্রমিকদের স্থায়ী নিয়োগ
♻ মুনাফা ও অন্যান্য বোনাসসহ বৈশাখী ভাতা প্রদান
♻ নিয়মানুযায়ী ওভার টাইমের টাকা প্রদান
♻ সকল আন্ডার গ্রাউন্ড শ্রমিকদের সর্বোচ্চ ৬ঘন্টা ডিউটি নিশ্চিতকরণ
পলাশ/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর
