ক্ষমতার অপব্যবহারে দুদকের ২ কর্মকর্তা বরখাস্ত

প্রতীকী ছবি

ক্ষমতার অপব্যবহারে দুদকের ২ কর্মকর্তা বরখাস্ত

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অসদাচরণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একজন কর্মকর্তাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত ও একজনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা হলেন দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এস. এম. শামীম ইকবাল। একই অভিযোগে দুদকের দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বীর কান্ত রায়কে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার দুদকের প্রশাসন বিভাগ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এস. এম. শামীম ইকবাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনায় কর্মরত অবস্থায় ২০১৫ সালে একটি দুর্নীতির মামলায় এক বছরের বেশি সময় আদালতে চার্জশিট দাখিল না করে নিজের কাছে রেখে দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই মামলা সম্প্রতি আদালতে খারিজ হয়ে যায়। দুদকের বিভাগীয় তদন্তে তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়।

এ বরখাস্ত আদেশের ফলে তিনি অবসরের কোনো সুবিধা পাবেন না। তাকে গত বছরের ১৩ জানুয়ারি সাময়িক বরখাস্ত করে তদন্ত শুরু করেছিল দুদক।

অন্যদিকে দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে কর্মরত সহকারী পরিচালক বীর কান্ত রায় একটি ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির মামলায় তদন্ত কার্যক্রমে এক বছরের বেশি সময়ক্ষেপণ করেন।

দুদকের তদন্ত করে প্রমাণ মেলে যে, বীর কান্ত রায় কোনো না কোনোভাবে আসামির মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে তদন্ত কার্যক্রমে বিলম্ব করেছেন। এ অভিযোগে তাকে সোমবার চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এ প্রসঙ্গে সোমবার বিকালে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী জানান, দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারে জড়িয়ে না যায়, তা নিশ্চিত করতে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দুদকে প্রাতিষ্ঠানিক অনুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের আরেক সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলামকে গত বছরের ২৩ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত করেছিল সংস্থাটি। আমিরুল দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ছিলেন।

 

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)

সম্পর্কিত খবর